গাড়িটি কার – বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলীর নাকি সাত খুনের ?

prado-naraiongongশীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধারকৃত কোটি টাকা মূল্যের টয়োটা প্রাডো গাড়ি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও রহস্য দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গাড়ির প্রকৃত মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আর এতে যেন রহস্য আরো ঘনিভূত হয়েছে।

উদ্ধারকৃত এই বিলাসবহুল গাড়ির প্রকৃত রহস্য উম্মোচন করতে পারেনি পুলিশ। আর এতে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। কেন বা কী কারণে নদীতে ফেলে দিয়েছে কোটি টাকা মূল্যের এই গাড়িটি। কোনো বড় ধরনের অপরাধকে ধামাচাপা দিতে নাকি অন্যকিছু।

শুক্রবার ভোর রাতে থানা পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আর এ দৃশ্য দেখতে থানা চত্তরে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে ধারনা করা হচ্ছে অন্য কোথাও বড় ধরনের অপরাধ করে আলামত নষ্ট করতে গাড়িটি নদীতে ফেলা হয়েছে।

গাড়িতে লাগানো নাম্বার প্লেটে (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২০২৯) অনুসন্ধান করে এ নাম্বারটি ঢাকার মীরপুরের রিনা বেগম, পিতা আব্দুর রব, ২/এইচ, বাসা ৯/১৪ নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত বলে জানা গেছে। তবে উল্লেখিত ঠিকানায় এই নামের কাউকে পাননি পুলিশ। আর এতে রহস্য আরো বেশি দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলীর ব্যবহৃত গাড়ি, আবার কেউ বলছেন নারায়নগঞ্জের সাত খুনের আলামতের গাড়ি। এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের মাঝে।

কাপাসিয়া থানা পুলিশ জানায়, গাড়িতে লাগানো নম্বর প্লেট (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-২০২৯) বিআরটিএ মাধ্যমে অনুসন্ধ্যানে করে এ নম্বরটি ঢাকার মিরপুরের রিনা বেগম, পিতা আবদুর রব, ২/এইচ, বাসা ৯/১৪ নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত। কিন্ত পুলিশ উল্লেখিত ঠিকানায় এ নামের কাউকে পাননি।

গাড়িটি নারায়নপুর নদীর তীর থেকে শুক্রবার রাত ১টার দিকে চেইন দিয়ে ট্রাকে বেঁধে টেনে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মিডিয়ায় রহস্যজনক এ গাড়িটি ব্যাপক প্রচার পাওয়ায় এটি দেখার জন্য থানায় অসংখ্য উৎসুক লোকজন ভির জমিয়েছে।

গাড়ির তদন্তে নিয়োজিত থানার এসআই দুলাল মিয়া জানান, গাড়ির চেসিস নম্বর আর জেট জে ৯৫-০০৩১৯৬০ জানা গেলেও ইঞ্জিন নম্বর পাওয়া যায়নি। তবে ইঞ্জিন নম্বর পেতে মেকানিক দিয়ে চেষ্টা চলছে। তবে শুক্রবার বন্ধের দিন থাকায় সরকারি দফতরের সকল জায়গায় যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। দীর্ঘ দিন নদীর পানিতে পড়ে থাকায় সাদা রংয়ের গাড়িটি ধুসর বর্ণ ও ভিতরে সিটে কাঁদা লেগে ছিলো এবং বডির অনেক জায়গায় মরিচা ধরে গেছে। ষ্টিয়ারিংয়ে চাবি লাগানো এবং তা ষ্টার্ট বাটনে থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, চলন্ত অবস্থায় গাড়িটি নদীতে ফেলা হয়েছে।

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কোটি টাকা মূল্যের প্রাডো মডেলের একটি গাড়ি নদীতে পাওয়ায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছে গাড়িটি আসলে কার। তবে তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।


শেয়ার করুন