খুরুশকুল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Rahimএম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন:
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদু রহিমের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম কিস্তির প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডে ব্রীজ, কালভাট, রাস্তা সংস্কারসহ উন্নয়ন কাজের জন্য ওয়ান পার্সসেন্ট এর খাত থেকে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু কোন কাজ না করেই গোপনে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান নিজেই। এ নিয়ে বরাদ্দ পাওয়া ইউপি সদস্যরা ছাড়াও এলাকাবাসির মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।
কাজ না করে বরাদ্দের টাকা আত্মসাত
জানা গেছে, খুরুশকুল ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডের জন্য ৪ জন ইউপি সদস্যের নামে রাস্তা, কালভাট, ড্রেন সহ কোরবানের ঈদে ঘরমুখি মানুষের নিরাপদ চলাচলের জন্য জরুরী ভাবে রাস্তা সংস্কার করতে ওয়ান পার্সসেন্ট এর ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দ হওয়া ইউপি সদসস্যের মধ্যে রয়েছে ১নং ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্লাহ মেম্বার, ৩ নং ওয়ার্ডের জানে আলম মেম্বার, সংরক্ষিত ১,২ ও ৩নং ওয়াড এর সদস্যা আরিফা বেগম এবং সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্যা অর্চনা প্রভা দে। গত কোরবানের ঈদের এক সপ্তাহ আগে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষকের ৮ লাখ টাকার চেক সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলণ করেন চেয়ারম্যান আবদু রহিম।
বরাদ্দ প্রাপ্ত ইউপি সদস্য ও সদস্যরা জানান, ওয়ান পার্সসেন্ট এর বরাদ্দের ব্যাপার্ েতারা শুনেছে। কিন্তু কোন অর্থ তারা পায়নি। এমন কি বরাদ্দের টাকার বিপরীতে এক টাকারও কোন কাজ না করে চেয়ারম্যান আবদু রহিম পুরো টাকা নিজেই একা আত্মসাত করেছেন।
ইউপি সদস্যরা আরো জানান, উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে আপত্তি করা হলেও তিনি নিজে বাচার জন্য এসব কাজ করেছে বলে সাফ জবাব দেন।
পুরো খুরুশকুল ইউনিয়নের জন্য বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার কর্তৃক বরাদ্দ দেয়া বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ কোন কাজ না করেই আত্মসাতের ব্যাপারে আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় অধিবাসিরা জানিয়েছেন, কোরবানের ঈদের আগে ওয়ান পার্সসেন্ট এর বরাদ্দের ৮ লাখ টাকার কোন কাজ এলাকায় না করেই ওই সব টাকা চয়ারম্যানের পাওনাদার শহরের কস্তুরাঘাটের ময়দা মিল মালিক মোস্তফাকে ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা এবং তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মোহরানার টাকা জরিমানা দেন ।
এলাকাবাসি আরো জানান, কস্তুরাঘাটের ময়দা মিল মালিক মোস্তফাকে গম ও চাল দেয়ার আশ্বাসে টাকা নিয়ে চেক দেন চেয়ারম্যান আবদু রহিম। পরে গম ও চাল না দিয়ে প্রতারণা করায় তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে এই মামলায় সাজাও হয় আবদু রহিমের। টাকা পরিশোধ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়া খুরুশকুল কাউয়ারপাড়া জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীকে বিয়ে করেন গত কয়েক মাস পূর্বে। পরে গত কোরবানের আগে বিচ্ছেদও হয়ে যায়।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, য়ান পার্সসেন্ট বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৮ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়েছে। তা সোনালী
ব্যাংক কক্সবাজার শাখা থেকে উত্তোলণও করা হয়েছে। তবে কাজ না করেই আত্মসাতের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানান।
এব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এর মুঠোফোনে একাধিক বার রিং করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান আবদু রহিম এর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিবার রিং করার পরেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন