১১:০৪ অপরাহ্ণ 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) দেশে মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস না করলে ২০২১ সালের অনেক আগেই মধ্যম আয়ে পৌঁছে যাবে।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভায় একথা বলেন।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, ‘বিএনপি নেত্রী দেশের মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। এখন লন্ডনে বসে বিদেশি হত্যা করছেন। তিনি আসলে দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু তার এ পরিকল্পনা সফল হবে না।’
বক্তব্যে শুরুতে তিনি বগুড়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আজ আপনাদের কিছু উপহার দিতে এসেছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তা উল্লেখ করেন।
প্রকল্পগুলো হলো- ১০তলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বগুড়া মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, শিবগঞ্জ, বগুড়া, কুন্দরহাট হাইওয়ে পুলিশ আউটপোস্ট, নন্দীগ্রাম, শিবগঞ্জের আলিয়ারহাটে অবস্থিত বগুড়া এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বগুড়া কাহালু, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর নির্মাণকাজ, নন্দীগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জিয়ার সময় ১৯টি ক্যু হয়েছিল। সে সময় অনেক আর্মি অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। বগুড়ায় আওয়ামী লীগ একটা বা দুইটা সিট পাই তবু আমরা আপনারদের পাশে থেকেছি। এখানে অনেক উন্নয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নৌকার মানুষ কখনো কাউকে ঠকায় না। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ অনেক কিছু পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ মানুকে দিতেই আসে, দিয়েই যাবে।’
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর গত সাত বছরে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বগুড়া সফর। বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি বগুড়া সেনানিবাসে যান।
সেখানে তিনি বগুড়া সেনানিবাসে ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) দেওয়ার অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকার মর্যাদা যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় এবং সব সময় যেন পতাকা সমুন্নত থাকে সেনা সদস্যদের প্রতি সে আহ্বান জানান।
এরপর বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে দুপুর দুইটা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা জনসভাস্থলে এসে পৌঁছান।
