খালেদার দুর্নীতি মামলার রায় ১০ মার্চ

বাংলামেইল:

14.-khaledaসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ। আগামী ১০ মার্চ এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

দীর্য প্রায় অর্ধযুগ পর হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করতে সম্প্রতি একটি আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার এ রুলের শুনানি করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ।

পরে তিনি আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ মার্চ ও বৃহস্পতিবার এই মামলার রুলের ওপর শুনানি করা হয়েছে। আদালত শুনানি গ্রহণ শেষে ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে এই মামলায় খালেদার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করতে আদালতে যাননি বলে জানা গেছে।

১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে।

শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, মরহুম অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।

২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন।

একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।


শেয়ার করুন