খালেদার কার্যালয়ের সামনে স্লোগান-উত্তেজনা

2016_02_07_23_02_54_khu8MLzMThTUoKgiJWle82K9O6lmKs_originalসিটিএন ডেস্ক

প্রায় ১৬ মাস পর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় শনিবার মধ্যরাতে। ৭৩৬ সদস্যের বিশাল কমিটি হলেও নেতাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

রোববার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তার কার্যালয়ের সামনের সড়কে তখন ছাত্রনেতাদের ভীড়। বেশিরভাগ ছাত্ররা কমিটিতে জায়গা পেয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আবার একটি অংশ পূর্ণাঙ্গ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর হতাশ হয়েছে।

মহানগর এবং তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের বেশকিছু নেতা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়। তাদের ক্ষোভ বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এবং সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ব্যক্তি স্বার্থে কমিটি দিয়েছে। তাই তারা বিভিন্ন ইউনিটের কমিটিগুলোকে এ্যানী-টুকুর পকেট কমিটি বলে আখ্যা দিচ্ছে।

রাত ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান দেখা করতে যান। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি প্রধানকে। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এবং বিভিন্ন ইউনিটের নতুন ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদার কার্যালয়ের সামনে বিএনএফের অবস্থান

100926_1আরটিএনএন:

 হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিতর্কিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।

রবিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন দলটির চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১৭ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদ।

গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমন, আব্দুল্লাহ, রাব্বী, ইয়ামিন, ফাহিম, নয়ন, সাকিব, মাহবুব, হাদিকে বিএনএফের দলীয় ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, হরতাল-অবরোধে জনজীবনে অশান্তি ও নাশকতা না হলে আমি এই কর্মসূচির পক্ষে থাকতাম। এখনই খালেদা জিয়া এই নিশ্চয়তা দিক, আমি তাকে সমর্থন দিব।

তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমি তার কর্মী হিসেবে আজ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে এসেছি। খালেদা জিয়া দেশের ও জনগণের কথা ভেবে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করবেন বলে আশা করছি।

আবুল কালাম বলেন, হরতাল-অবরোধে নাশকতা চলছে। নাশকতা যারাই করুক চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। আমি শুনেছি বিএনপি চেয়ারপারসন অসহযোগ আন্দোলনের কথা ভাবছেন। তাই সেই আন্দোলনে যাওয়ার আগে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা উচিত।


শেয়ার করুন