খালেদার আবেদন খারিজ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

খালেদাবাংলামেইল:

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও দুদক আইনের ধারা, বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে বেগম খালেদা জিয়ার করা দু’টি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায়ের কপি পাওয়ার পর ২ মাসের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। গত ১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রিটের রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ঠিক করেন। এর আগে গত ১৭ জুন এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে যে কোনো দিন রায় (সিএভি) দেয়া হবে আদেশ দেন আদালত।

খালেদার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদককে বলেন, ‘গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা দু’টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল। এ রুলের ওপর উভয়পক্ষের শুনানির পর বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।’

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী মতিঝিল থানায় খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে সদ্য প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও কমলাপুরের কন্টেইনার টার্মিনালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য মেসার্স গ্লোবাল এগ্রোটেড লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। এরপর ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্র দায়েরের পর মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলাটি কেন বেআইনী ও কর্তৃত্ব বহির্ভুত হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার কার্যক্রম দুইমাসের জন্য স্থগিত করা হয়, সময়ে সময়ে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।


শেয়ার করুন