কক্সবাজারের লবণ চাষীরা আবারো মাঠে

লবণ ,,,মাঠআতিকুর রহমান মানিক ৥

দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদনকারী জেলা কক্সবাজারে কয়েকদিন আগে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ ও আচমকা বৃষ্টির ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লবণ চাষীরা আবারো মাঠে নেমেছেন। ঐ সময় শৈত্যপ্রবাহজনিত মেঘমেদুর আবহাওয়া ও ২/৩দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে বিপুল পরিমাণ উৎপাদিত লবণ পানিতে ভেসে যায় এবং লবণমাঠে পানি জমে যাওয়ার ফলে চাষীরা মাঠ থেকে উঠে আসেন। পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকুল হলে আবারো লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যে নতুন করে মাঠে নেমেছেন জেলার লবণ চাষীরা। গত ২দিন ধরে প্রখর সূর্যতাপ ও অনুকুল উত্তুরে হাওয়া সহ লবণ উৎপাদনের উপযোগী প্রাকৃতির আবহাওয়া বিরাজমান থাকার ফলে লবণ চাষীরা এখন মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী এবং কুতুবদিয়া সহ পেকুয়া, চকরিয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর উপকুলীয় এলাকার লবণ মাঠ সমূহে এখন চলছে রাতদিনের ব্যস্ততা। লবণমাঠে জমে থাকা কাদা পরিস্কার করা, গরামারা, আইল পেটানো, চালানের পানি উত্তোলন ও  প্র্রোডাকশন বেডে পলিথিন বিছানোসহ রকমারী কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন চাষী, উদ্যোক্তা, জমিদার ও শ্রমিকরা। কক্সবাজার সদরের গোমাতলীর লবণচাষী ইউছুপআলী জানান, আবহাওয়া বিরূপ না হলে আর ৩/৪দিন পরেই মাঠ থেকে লবণ উত্তোলন সম্ভব হবে। দেশের বৃহত্তম লবণ শিল্প এলাকা সদরের ইসলামপুরে কারখানা মালিক, শ্রমিক ও আড়তদারদের মাঝেও ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরিশোধিত লবণ বোঝাই কার্গোবোট এখন ইসলামপুরে আসবে। লবণ মিলমালিকরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মোকাম, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের কাছ থেকে পরিশোধিত ভোজ্য, আয়োডিনযুক্ত ও শিল্প লবণের প্রচুর সাপ্লাই অর্ডার আসছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের ব্যাংকিং সেক্টর লবণ উঠার সাথে সাথে সরগরম হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকার ও গ্রাহকরা। জেলার অন্যতম লবণ উৎপাদন এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওর উপকূলীয় বিভিন্ন ইউনিয়নে উৎপাদিত অপরিশোধিত লবণ ও ইসলামপুরে লবণ কারখানা সমূহের উৎপাদিত পরিশেধিত লবণ দেশব্যাপী বেচাবিক্রির যাবতীয় লেনদেন ঈদগাঁওতে অবস্থিত বিভিন্ন ব্যাংকের ৮/৯টি শাখার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।


শেয়ার করুন