ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের হ্যাকারদের যুদ্ধ!

214916Hacker-bbcডেস্ক রিপোর্ট:

দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন হলো বাংলাদেশ-ভারত লড়াইটা জমে উঠেছে। গত রবিবার ঢাকায় এশিয়া কাপের ফাইনালে লড়েছে দুই দল। আর এই লড়াইকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সমর্থকদের লড়াইটাও চরম পর্যায়ে উঠেছিল। এর শেষটা হয় হ্যাকারদের হাতে বাংলাদেশের সরকারী ওয়েব সাইট হ্যাকিংয়ে! শনিবার এই রিপোর্টটা করেছে বিবিসি। সেটাই কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য অনুবাদ করে দেয়া হলো।

ফাইনালের আগে এর শুরু। বাংলাদেশ তুলনায় ছোটো। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো। ফেভারিট ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে আপসেট আশা করছিল তারা। জয়ের এই আশার আগে বাংলাদেশি সমর্থকরা একটা ট্রল করে। তাদের তারকা খেলোয়াড় তাসকিন আহমেদের হাতে ভারত অধিনায়ক এমএস ধোনির রক্তাক্ত কাটা মুণ্ডু দেখা যায়।

ছবিটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হয়। এক দলের কাছে এটা লড়াইয়ের উপাদান। অন্য দলকে ফটোশপে করা ছবিটা দেয় তিক্ততা। শেষে আট উইকেটে জিতে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপ শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। কিন্তু ভারতীয় সমর্থকরা ম্যাচের আগে বাংলাদেশের সমর্থকদের বাড়াবাড়ি ক্ষমা করেনি। বাংলাদেশের খালি ট্রফি কেবিনেটের ছবি পোস্ট করে তারা। কিছু ভারতীয় সমর্থকের কাছে এটা যথেষ্ট ছিল না।

Taskin-dhoniম্যাচের পর কেরালা সাইবার ওয়ারিয়র্স নামে হ্যাকারদের একটি দল কাজে নামে। ১৫টার বেশি বাংলাদেশি ওয়েবসাইট হ্যাক করে তারা। এর মধ্যে কয়েকটা সরকারী। ভিজিটররা সাইটে ঢুকে জয়সূচক হিন্দি গান শুনতে পায়। সাইটে লেখা দেখা যায় ‘তোমাদের ক্রিকেট দল কিছুই না’।

aএই হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় দেয়নি। তবে বিবিসির সাথে যোগাযোগ করেছে। ই-মেইলে জানিয়েছে, “তারা (বাংলাদেশি সমর্থকরা) এর শুরু করেছিল। আমরা শেষ করেছি। ধোনির ছবি ফটোশপ করে বাড়াবাড়ি করেছিল। এটা ভাইরাল হয়ে যায়। আমাদের তা খারাপ লেগেছে। তাদের আচরণ আমাদের এটা করতে প্ররোচিত করেছে।” হ্যাকাররা জানায়, “আমরা জানি কোনো সাইট বিকৃত করা অপরাধ। কিন্তু এটা প্রতিশোধ। ক্রিকেটের নামে বাংলাদেশের হ্যাকাররাও একই কাজ করেছে। তাহলে ভারতীয় হ্যাকাররা করবে না কেন?”

এই প্রথম অবশ্য ক্রিকেট ভক্তরা অন্য দেশের সাইট হ্যাক করলো তা নয়। কেরালা সাইবার ওয়ারিয়র্স অতীতে ক্রিকেটে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাইট হ্যাক করেছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের সময়ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সাইট হ্যাকারদের দখলে। বাংলাদেশের সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে কেরালা ওয়ারিয়র্স একটি সমাধানও দিয়েছে, “ওয়েবসাইট থেকে আমরা কোনো ডাটা ডিলিট করিনি। আমরা শুধু হোমপেজ বিকৃত করেছি। একটি ডিফল্ট ফাইল আপলোড করে তারা সহজেই সাইট ফিরে পেতে পারে।”


শেয়ার করুন