কোয়েটার হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা

pak_3পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার সকালে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সহিংসতাপূর্ণ শহর কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে ডননিউজের খবরে বলা হয়েছে।

বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব আকবর হারিফাল বলেছেন, সকালে কোয়েটাতেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিলাল আনওয়ার কাসি নিহত হওয়ার পর হাসপাতালে আইনজীবী ও সাংবাদিকরাসহ শোকাহতরা জড়ো হওয়ার সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে।তাৎক্ষণিকভাবে হামলার জন্য কেউ দায় স্বীকার না করলেও হামলার নিন্দা জানিয়ে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সানাউল্লাহ জেহরি স্থানীয় টিভি জিও নিওজকে বলেন, কোয়েটায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলোর পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (আরডব্লিউ) হাত রয়েছে।

তিনি বলেন, ওই হামলাকে আত্মঘাতী বলেই মনে হচ্ছে। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

ফরিদুল্লাহ নামে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক রয়টার্সকে বলেন, বোমাটি যখন বিস্ফোরিত হয় তখন ৫০ জনের বেশি মানুষ কাসির লাশ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকছিলেন।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জহুর আহমেদ আফ্রিদির ভাষ্য, নিহতদের বেশিরভাগ আইনজীবী। আহতদের মধ্যেও বেলুচিস্তান বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাজ মোহাম্মদ কাকারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী রয়েছেন।

স্থানীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, হামলার সময় ঘটনাস্থলে গুলির আওয়াজও শোনা গেছে। হুড়োহুড়ি ও চিৎকার-চেচামেচির মধ্যে লোকজন হাসপাতাল থেকে বের হতে দেখা যায়।
Pakistan-Blast.jpgহাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকরাও গুলির মুখে পড়েন এবং ডননিউজের এক আলোকচিত্রী বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। শাহজাদ খান নামে আজ টিভির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক আলোকচিত্রীর বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডন।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জিও টিভিকে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে বলা হয়, কোয়েটায় আদালত প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে কাসিকে গুলি করা হয়।

এই হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেন, “কাউকেই ওই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না।

বেলুচিস্তানের জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কোয়েটায় বেশ অনেকগুলো লক্ষ্যভিত্তিক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো গোষ্ঠীগত উত্তেজনা ও অপরাধের পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার সঙ্গে যুক্ত।

ওই সব হামলায় কয়েকজন আইনজীবীও নিহত হন, যেগুলোর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কাসি।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত সপ্তাহে এক সহকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে দুদিনের আদালত বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলে তিনি।

—-বিডিনিউজ২৪ডটকম


শেয়ার করুন