বাহারছড়ায়

কোস্টগার্ড কর্তৃক মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগে সড়ক অবরোধ

unnamed (2)আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ॥

টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় কোস্টগার্ড কর্তৃক মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগে সড়কে অবস্থান করে গ্রামবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এঘটনায় টেকনাফ-শামলাপুর-কক্সবাজার সড়ক প্রায় ২ ঘন্টা অচল থাকে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর গুচ্ছগ্রাম (পশ্চিম পুরানপাড়া) সৈকতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, পশ্চিম পুরান পাড়ার আবদুল শুক্কুরের ছেলে চট্টগ্রামে চাকুরীরত দোকান কর্মচারী বাড়ীতে বেড়াতে আসে এবং ঘটনারদিন কিশোর মোঃ আরিফ সৈকতে ঘুরতে যাই। এসময় বাহারছড়ার অস্থায়ী ক্যাম্পের কোস্টগার্ড সদস্যরা সৈকতে টহলদানকালে আরিফকে ঘুরাঘুরির কারণ জানতে চাই এবং শরীর তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে কিশোরের সাথে কোস্টগার্ড সদস্যদের বাকবিতন্ডা হলে কিশোর আরিফকে মারধর করে। খবর পেয়ে আরিফের মা ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও ব্যাপক মারধর করে। মা-ছেলেক মারধরের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ১৫/২০ জন মহিলা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ নিয়ে যায়। ফাঁড়ির পরামর্শে ওই মহিলারা কোস্টগার্ড অফিসে অভিযোগ নিয়ে গেলে তাদেরকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসী বিচারের দাবীতে সড়কে অবস্থান নিলে কয়েক ঘন্টা সড়ক অচল হয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীকে সরিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড শামলাপুর অফিস ইনচার্জ আব্দুল কাদিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমরা তাদের মারধর করি নাই। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি মাত্র।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেঃ কমান্ডার ফায়সাল জানান, পুলিশসহ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন। এব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


শেয়ার করুন