কোরান মাজিদে কয় প্রকারের সৃষ্টির কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে?

কোরান মাজিদ তিন প্রকারের সৃষ্টির কথা বারবার উল্লেখ করেছে : যেসব বিষয় বা বস্ত্ত নভোমন্ডলে রয়েছে, যেসব বস্ত্ত ভূমন্ডলে রয়েছে এবং যেসব বস্ত্ত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মাঝখানে রয়েছে।

আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল এবং এতদুভয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে তা যথার্থভাবেই সৃষ্টি করেছি। (হিজর, ১৫ : ৮৫)

নভোমন্ডলে, ভূমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে তা তাঁরই। (ত্বাহা, ২০ : ০৬)

নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মাঝে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। (আম্বিয়া, ২১ : ১৬)

কোরান মাজিদের আরও কিছু আয়াত সেসব বস্ত্তর নির্দেশ করে যা আল্লাহ তাআলা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মাঝখানে সৃষ্টি করেছেন। যেমন : ২৫:৫৯; ৩২:০৪; ৪৩:৮৫; ৪৪:০৭, ৩৮; ৪৬:০৩; ৫০:৩৮; এবং ৭৮:৩৭। মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত আমাদের সাম্প্রতিক জ্ঞানের ভিত্তিতে আমরা বর্তমানে কোরান মাজিদে বারংবার উল্লিখিত এসব বিষয়ের ব্যাখ্যার একটি পর্যায়ে রয়েছি। বৈজ্ঞানিকগণ সাম্প্রতিক সময়ে মহাশূন্যে ছায়াপথ বহির্ভূত বস্ত্তর উপস্থিতি আবিষ্কার করেছে। আমাদের মহাবিশ্বের মৌলিক গঠন প্রক্রিয়ায় সংযুক্তি ও একীভূত হওয়ার পর বিভাজন ও বিক্ষেপণের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। যেমনটি ইতোপূর্বে বর্ণিত হয়েছে, কোরান মাজিদ মহাবিশ্বের গঠন প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়েছে সর্বাধিক উপযুক্ত আরবি শব্দ ‘ফাতাক্ব’ (বিভাজন) ও ‘রাতাক্ব’ (সংযুক্তি)- এর মাধ্যমে। ‘রাতাক্ব’ (সংযুক্তি)- এর প্রাথমিক প্রক্রিয়ার সময় কিছু টুকরো মহাশূন্যের বাইরে থেকে গিয়েছিল। এগুলিকেই বর্তমানে আন্তঃছায়াপথীয় বস্ত্ত বলা হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অতি সম্প্রতিই সেসবের উপস্থিতি সনাক্ত করতে পেরেছে। পক্ষান্তরে কোরান মাজিদ এসব বিক্ষিপ্ত টুকরার উপস্থিতির স্বীকৃতি দিয়েছে বহু শতাব্দী পূর্বে।


শেয়ার করুন