কোরবানি নিয়ে ‘হিন্দুত্ববাদী চক্রান্ত’ হয়েছে: ওলামা লীগ

120311_1সিটিএন ডেস্ক :

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবার কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানো ও নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হুসাইন।

তিনি বলেন, প্রতি বছর কোরবানির সময় জনদুর্ভোগের কথা বলা হয়। এবার জনদুর্ভোগের কথা বলে কোরবানির পশু জবাই করতে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কোরবানির প্রতি মানুষ নিরুৎসাহিত হবে।

অথচ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমীর মিছিল ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে রাস্তা বন্ধ রেখে তা পালনের সুযোগ করে দেয় সরকার।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অজুহাতে দুই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হিন্দুত্ববাদী চক্রান্তের শিকার হয়ে কোরবানির পশু জবাই করার স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সরকার সমর্থক ওলামা লীগের নেতারা।

প্রথমবারের মত আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৮৫টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০৮টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও ২০টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে সমালোচনা এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলেছে, এসব স্থানে কোরবানি করতে কাউকে বাধ্য বা জোর করা হবে না।

মানববন্ধনে দাবি করা হয়, ‘মওদুদীপন্থি জামায়াতী খারিজি তথা ধর্ম ব্যবসায়ী কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন; আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম; পিস টিভির জাকির নায়েক ও ধর্মের নামে রাজনীতিকারীদের মাদ্রাসায় চামড়া দিলে কোরবানি কবুল হবে না। বরং সন্ত্রাসী ও ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনীতি তেরি হবে।’

একথা সরকারিভাবে প্রচারের দাবি জানান ওলামা লীগ নেতারা।

মানববন্ধনে সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ‘ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী’ মন্ত্রী-এমপিদের অবিলম্বে অপসারণ করার দাবি জানানো হয়।

এছাড়া ঈদুল আজহায় মাদক এবং দেশি-বিদেশি এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেলে অশ্লীলতা বন্ধ করার দাবি তোলা হয়।

আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হুসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ।


শেয়ার করুন