কোপা আমেরিকা কাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্কঃ

কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল।

১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে দেখা হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর।
কোপার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার এস্তাদিয়ো ন্যাসিওনাল দে ব্রাসিলিয়ায় নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খেলা ১-১ গোলে সমতা বিরাজ করায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

যেখানে ৩-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা। আসলে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস।

কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে আলবিসেলেস্তেদের ফাইনালে তোলার মূল নায়ক এই গোলরক্ষক।
কলম্বিয়ার হুয়ান কুয়াদরাদোর প্রথম শটে গোল হয়।

সানচেস ও ইয়েরি মিনার পরের দুটি শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। মিগুয়েল বোরহার শট জাল খুঁজে নেওয়ার পর কারদোনার শট আবার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মার্তিনেস। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শটে গোল করেন মেসি। রদ্রিগো দে পল মারেন আকাশে। পরের দুটি শট জালে পাঠান লেয়ান্দ্রো পারেদেস ও মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার পঞ্চম শটের প্রয়োজন হয়নি। ফলে এক আসর পরে ফাইনালে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে আর্জেন্টিনা।
২০১৬ সালের পর এই প্রথম কোপার ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা। আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় তারা ১৫তম কোপা জেতার স্বপ্ন নিয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সর্বশেষ ২০০৭ সালে কোপার ফাইনাল খেলেছিল আলবিসেলেস্তেরা।

কোয়ার্টারের একাদশে থাকা পারেদেস, আকুনাকে বসিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি মাঠে নামান তাগলিয়াফিকো ও রদ্রিগেসকে। অন্যদিকে কলম্বিয়া মুরিয়েলকে বসিয়ে কুয়াদ্রাদোকে একাদশে নামায়।

খেলার শুরুতেই লউতারো মার্তিনেসকে দিয়ে গোল করান মেসি। সপ্তম মিনিটে লো সোলসোর কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পান বার্সা ফরোয়ার্ড। কলম্বিয়ার এক ডিফেন্ডার বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক খুঁজে নেন মার্তিনেসকে। ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার আড়াআড়ি শটে জালে বল পাঠান।

ম্যাচে দলের প্রথম গোলে অবদান রেখে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এখন পর্যন্ত চলতি কোপায় তার অ্যাসিস্ট হলো ৫টি। এর আগে এক আসরে ৪টির বেশি অ্যাসিস্ট ছিল না আর কারো।

গোল হজমের দুই মিনিট পরেই সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু কুয়াদ্রাদোর শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ৩৮তম মিনিটে কুয়াদ্রাদোর কর্নার থেকে হেডে গোল করার চেষ্টা করেন মিনা। তার হেডার ক্রসবার ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।

বিরতির আগে মেসির কর্নার কিক থেকে বল ছয় গজ বক্সে পান গঞ্জালেস। হেডও নেন গঞ্জালেস, কিন্তু বল জালে প্রবেশের ঠিক আগে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বিয়া ধীরে ধীরে আক্রমণের গতি বাড়াতে থাকে। বল দখলেও এগিয়ে যায় তারা। ৬১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দেখাও পেয়ে যায় কলম্বিয়া। কারদোনার ফ্রি-কিক থেকে বল নিয়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণে ঢুকে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে সমতা টানেন লুইস দিয়াজ।

৬৭তম মিনিটে গঞ্জালেসকে তুলে নিয়ে দি মারিয়াকে মাঠে নামায় আর্জেন্তিনা। ৮২ মিনিটে এই পিএসজি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের পাস থেকে বল ধরে শট নেন মেসি। বল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা সময়ে দুই দল আর লক্ষ্যের দেখা না পেলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট-আউটে।


শেয়ার করুন