কোকো পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

2016_04_03_16_37_11_yORHxuKvDANIEgQfgK9nL1NKiLeecw_originalসিটিএন ডেস্ক:

ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়া ও কোকো রহমানের স্ত্রী-সন্তানসহ ১৬ বিবাদীর বিরুদ্ধে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইলাম।

রোববার (৩ এপ্রিল) ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস ওই সাক্ষীর প্রদত্ত আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এদিন সাক্ষীর আংশিক জবানবন্দি প্রদান শেষে বিচারক অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

ড্যান্ডি ডাইং কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের ওই মামলার অন্যতম বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত খালেদা পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়া ও কোকার স্ত্রী-সন্তানদের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত করেন।

এ মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লি., খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে মামলার বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত করা হয়।

মামলার অন্যতম বিবাদী কোকোর মৃত্যুতে খালেদা জিয়াকে বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ওই খেলাপি ঋণের দায় খালেদা জিয়াসহ একইসাথে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের উপরও বর্তায়।

গত ৮ মার্চ খালেদাসহ অন্যদের বিবাদীভুক্ত করার জন্য ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে আবেদন জানান সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ২২নং আদেশের বিধি-৪ অনুসারে কোকোর সম্পদের উত্তরাধিকারীগণ বিবাদীভুক্ত হলেন।

যেহেতু বাংলাদেশে শরীয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টিত হয় সেজন্যই খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী ও তার সন্তানগণ বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন। তবে উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান পূর্ব থেকেই বিবাদী থাকায় নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।


শেয়ার করুন