কোকোর মরদেহ মাকে দেখাতে গুলশান কার্যালয়ে নেয়া হবে

সিটিএন ডেস্ক:

Kokoআরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মাকে দেখানোর জন্য গুলশানের কার্যালয়ে নেয়া হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কোকোর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছুবে। হযরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ সরাসরি গুলশান কার্যালয়ে নেয়া হবে।

চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বাংলামেইলকে এ তথ্য জানান।

মারুফ কামাল বলেন, ‘মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় কোকোর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর ম্যাডামকে দেখানোর জন্য সরাসরি গুলশান কর্যালয়ে আনা হবে। বিকেলে নয়াপল্টনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দাফন।

একাধিক জানাজা হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবারই তাকে দাফন করা হবে।’

এদিকে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ আনতে মালয়েশিয়া গেছেন তার ছোট মামা শামীম এস্কান্দারসহ তিনজন।

বাংলাদেশ সময় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো মারা যান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। মালয়েশিয়ার বাসায় অবস্থানকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাকে ইউনিভার্সিটি অব মালায়া হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান।

রোববার বাদ জোহর দেশটির জাতীয় মসজিদ নিগারায় তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় মালয়েশিয়া বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশ নেন। জানাজার পর কোকোর মরদেহ ইউনিভার্সিটি মালয়া মেডিকেল সেন্টারের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ওই হাসপাতালেই মারা যান তিনি।

দুই মেয়ের বাবা কোকোর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। দেশ ছাড়ার পর তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুয়ালালামপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন একজন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তার বড় ভাই তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।

ওয়ান-ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হন আরাফাত রহমান কোকো। তবে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তৎকালীন সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। এরপর দেশে না ফিরে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।


শেয়ার করুন