নিজস্ব প্রতিনিধি,কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিস যেন পরিণত হয়েছে দূর্নীতির আঁখড়ায়। কুতুবদিয়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের একাধিক দূর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর এবার এ অফিসের উচ্চমান সহকারী আজমল খাঁনের দূর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আলহাজ্ব আনোয়ার আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আবদুল্লা মোঃ শহিদ চৌধুরী।
অভিযোগের বিবরণে উল্লেখ করেন যে, বকেয়া বিল উত্তোলন, টাইমস্কেলসহ বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামতে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ অর্থ, বিল পাস করানোর জন্য এ অফিসের উচ্চমান সহকারীকে দিতে হয়েছে মোটা অঙ্কের ঘুষ। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি করায় তিনি এই ঘুষ দিতে বাধ্য হন বলে জানান এ অভিযোগকারী।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও)’কে সুপারিশ করেন।
এ দিকে ইউএনও’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন , বিষয়টির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বারবার দূর্নীতির খবর যেন কুতুবদিয়ার সচেতন মহলে এক স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, উচ্চমান সহকারী আজমল খাঁনের বিরুদ্ধে তারাও মুখ খোলতে চান। তাদের নিকট থেকেও এ উচ্চমান সহকারী বিভিন্ন সময় হয়রানী করে ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়াও এ উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষকদের জেলা, আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বদলীর আবেদন করলে ফাইল প্রসেসিং করার জন্য ঘুষ নেয়ার অভিযোগ।
সচেতন মহল মনে করছেন দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ধরনের দূর্নীতি থামছে না বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।