কুতবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুংয়ে ধর্ষণে ব্যার্থ হওয়ায় মহিলাকে উপর্যপুরী চুরিকাঘাত

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার হায়দার আলী মিয়াজির পাড়ায় ধর্ষণে বাধা দেয়ায় এক মহিলাকে উপর্যপুরী চুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করেছে ইউসুপ নামের নারী লিপ্সু এক ব্যক্তি। ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিমের নিজ বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং এলাকার হায়দার আলী মিয়াজির পাড়ার বাসিন্দা নুরুন্নবী বিগত ১০ বছর আগে মারা যায়। এতে তার স্ত্রী মোতাহারা বেগম বিধাব হয়ে যায়। এরপর থেকে সন্তানদের নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বিধাব মোতাহারা। এদিকে বিগত ১বছর আগে থেকে বিধাব ওই মহিলার উপর কু-দৃষ্টি দেন পাশ^বর্তি মৃত আশরাফ জামানের ছেলে নারী লিপ্সু ইউসুপ কবির। সে নানা সময় ওই মহিলাকে অশালীন ও কুরুচীপুর্ণ কথা বার্তা এবং কু-প্রস্তাব দিত। কিন্তু তার প্রসÍাব বার বার প্রত্যাখান করে আসছিল ওই বিধাব মহিলা। ওই মহিলা ইউসুপের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অনেকবার হুমকী ধমকীও দেয়। এরপরও তার সিন্ধান্তে অনড় থাকে ওই বিধাব মোতাহারা। এ বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে অনেকবার কথা কাটা কাটিও হয়। কিন্তু কি ভাবে ওই মহিলার চরিত্র হনন করা যায় তা নিয়ে ফঁন্দি খুঁজতে থাকে নারী লিপ্সু ইউসুফ। ওই মহিলার রয়েছে আব্বাস নামের (২২) বছরের এক ছেলে। সে নিয়মিত বাড়িতে অবস্থানের কারেণ ঘরে ঢুকার সাহসে কুলাইনা ইউসুপের। কিন্তু পিচপা হওয়ার লোক সে নয়। তার ইচ্ছা যে ভাবেই হোক ওই মহিলাকে তার ভোগ করতেই হবে। ঠিক তার মনভাসনা পুর্ণ করতেই ১৯এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই মহিলার ছেলে আব্বাস ধুরুং বাজারের দিকে চলে যাওয়ার সাথে সাথেই চরিত্রহীন ইউসুপ ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকেই মহিলার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই মহিলা নিজের ইজ্জত বাঁচাতে চিৎকার করলে ইউসুপ তাকে উপর্যপুরী চুরিকাঘাত করে ঘর থেকে বের হয়ে পড়ে। সে এতে কান্ত হননি। বাহিরে এসে নিজের দোষ লুকাতে তার ভাই শাহাদাত কবির, ছেলে মো: ওসমান, ভাতিজা নুরুল ইসলাম ও আজিজুল হককে উল্টো বুঝিয়ে আবারও ওই মহিলার ঘরে হামলা চালায়। তারা ঘরে ঢুকে আহত ওই মহিলাকে পুনরায় বেদড়ক পিটায়। এতে ওই মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়লে হামলাকারীরা তার ঘরে ব্যাপক লুটপাট চালায়। তারা ওই ঘরে রক্ষিত ৩ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০হাজার টাকা ও ঘরের দামী দামী জিনিসপত্র নিয়ে যায়। হামলাকারীরা অজ্ঞান অবস্থায় ওই মহিলাকে ঘর থেকে বের করে উঠানে রেখে এ ঘটনা নিয়ে মামলা করলে বাড়ির সকলকে জানে মেরে লাশ গুম করবে বলে হুমকী দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। তাদের ভয়ে আশপাশের লোকজন দুর থেকে ঘটনাটি দেখলেও তারা চলে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে তারা এসে আহত মোতাহারাকে উদ্ধার করে। পরক্ষণে খবর পেয়ে তার ছেলে আব্বাস বাড়িতে এসে তার মাকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করলে রোগির অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে আহত মোতাহারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতী চলছে বলে জানান, আহত মোতাহারার ছেলে মোহাম্মদ আব্বাস।


শেয়ার করুন