কালিরছড়া অস্থায়ী গরু বাজারে পুলিশী বাঁধা

imagesএম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর উপ-বাজার খ্যাত কালিরছড়া বাজারটি সরকারীভাবে রাজস্ব দেওয়ার পরেও অস্থায়ী গরু বাজারে পুলিশী বাঁধা প্রদান নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফূঁসে উঠছে এলাকাবাসী। জানা যায়, দীর্ঘ বছর ধরে কালিরছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অস্থায়ীভাবে কোরবানীর পশুর হাট বসে আসছে। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী এ বাজারে গরু বিকিকিনির জন্য নিলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গরু ব্যবসায়ীদের বাঁধা প্রদান করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

এ নিয়ে এলাকার সর্বপেশার লোকজনের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া প্রতি রবি, বুধ ও শুক্রবার এ ঈদগাঁওর কালিরছড়া বাজারে হাট বসে। বাজারে বিশৃঙ্খলা বিষয়ে কালিরছড়া বাজার সভাপতি ও ইজারাদার জসিম উদ্দীন সওদাগর পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঈদগাঁও বাজারের ইজারাদারের অভিযোগে এ বাজারে গরু বিকিকিনিতে বাঁধা প্রদান করা হয় বলে জানান। অপরদিকে কালিরছড়া বাজার দীর্ঘদিন ধরে সরকারীভাবে রাজস্ব দেওয়ার পরেও এ বাজারে পুলিশী বাঁধা প্রদান করার কারণ জানতে চান এলাকাবাসী।

তবে এ ব্যাপারে বাজার ইজারাদার ও সভাপতি জসিম উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন- ইজারা দেওয়ার পরেও পুলিশী বাঁধা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এদিকে কালিরছড়া বাজারের সচেতন লোকজন যে কোন মুহুর্তে তাদের এ ঐতিহ্যবাহী কালিরছড়া বাজারের ঐতিহ্য ধরে রাখার স্বার্থে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও জানা যায়। তবে বেশ ক’জন বয়োবৃদ্ধের মতে, দীর্ঘদিন ধরে এ বাজার সুনাম রক্ষা করে চলে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে অস্থায়ী গরু বাজারে পুলিশী বাঁধা প্রদান নিয়ে আমরা মর্মাহত ও দুঃখিত। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার কাছে কালিরছড়া গরু বাজারে বাঁধা প্রদান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বাজারটি অনুমতিবিহীন বাজার বলে জানান। অপরদিকে এ বাজারে প্রতিবছর রাজস্ব প্রদান করা হচ্ছে বলে ইজারাদার জসিম জানান।


শেয়ার করুন