মহেশখালীর

কালারমাছড়া ইউপি নির্বাচনে তারেক বাদ সেলিম নৌকার বৈধ মাঝি!

moheskhil pic-14.06.16নিজস্ব প্রতিনিধি :

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে সেলিম চৌধুরী ও তারেক বিন ওসমান শরীফের আইনী লড়াইয়ে ১৩ জুন সোমবার মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সেলিম চৌধুরীর করা রিট মামলা নং ২৫৫৫/ ১৬ এর উপর দীর্ঘ শুনানী শেষে আপিল বিভাগ তারেকের আবেদন চুড়ান্ত ভাবে খারিজ করে দিয়েছেন। ঘোষিত প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা প্রজ¥লীগের কক্সবাজার জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কালারমারছড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী কে কালারমারছড়া ইউনিয়নে নৌকার বৈধ মাঝি হিসাবে নৌকার প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ । আইনী প্রক্রিয়ায় দফায় দফায় হেরে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ওই চেয়ারম্যান প্রাথী।
জানা গেছে, সেলিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী মনোনিত হলে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তবে কৌশলে তারেক বিন ওসমান শরীফ আ.লীগের মনোনয়ন বোর্ড থেকে সেলিম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে নৌকার প্রর্তীক ফিরিয়ে আনে। এ ঘোষণার পর উত্তাল হয়ে পড়ে কালারমারছড়ার সাধারণ ভোটাররা। একই সাথে চরম ক্ষুদ্ধ হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। সেলিম চৌধুরী পক্ষে থেকে একটি আইনি মামলা করলে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর তিনি নৌকা প্রতীক ফিরিয়ে পাওয়া কালারমারছড়াবাসীর মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সেলিম চৌধুরী তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত মুক্তিযুদ্ধা মরহুম খাইরুল্লাহ চৌধুরীর সুযোগ্য ছেলে ও সেলিম চৌধুরী আওয়ামী লীগের দুঃ সময়ের কান্ডারী পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিকবিদ হওয়ায় স্থানিয়, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি জরিফ দল দফায় দফায় কালারমারছড়া জরিফ চালায়। ওই জরিফের সেলিমের পক্ষে ইতিবাচক তথ্য পায় জরিফ দল। একই সাথে তারেকের নিশ্চিত পরাজয়ের বিষয়টি উঠে আসে জরিপে। এই বিষয় গুলো আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড তারেক বিন ওসমান শরীফ বিভিন্ন তদবীর চালালেও সেলিম চৌধুরীকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির কয়েকজন নেতাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভাগিয়ে আনা মনোনয়ন আদালতে এসে ধরা পড়েছে। ফলে কালারমারছড়ার মানুষ এখন ধিক্কার দিচ্ছে এই প্রতারকদের।
আওয়ামী নেতা সরওয়ার ও যুবলীগ নেতা আজিমুল হাসান চৌধুরী জানান, সন্ত্রাসের পতন ও সত্যের বিজয় হয়েছে। এখন সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর। তারা যেভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলেছে এতে মানুষ আতংকিত হয়ে উঠেছিল। প্রকৃত আওয়ামী লীগই এখন মনোনয়ন পেয়েছে। এখন প্রয়োজন কালারমারছড়া আওয়ামী লীগের পকেট কমিটি বিলুপ্ত করা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছাত্র নেতা মোঃ জকরিয়া জানান, পুলিশ ক্যাম্প সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে অভিযান জোরদার না করলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ভয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারবেনা। এই বিষয়ে শীঘ্রই আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করব। উল্লোখ্য গত ২২ মার্চ কালারমারছড়া ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে ও তা আইনি লড়াইয়ের কারনে স্থগিত হয়ে যায়। এবার শুধু মাত্র নির্বাচনের দিনক্ষণ টিক করার সময় বলে জানা গেছে নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে া।


শেয়ার করুন