কাবা শরিফ থেকেও মর্যাদাবান যিনি

5245641-400x280হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, একবার মহানবি সা. মিম্বারে দাঁড়িয়ে উঁচু কণ্ঠে বললেন, হে লোকসকল! যারা শুধু মুখে মুখে কালিমা পাঠ করো, অথচ গভীর ভালোবাসায় ইমানের স্বাদ পাওনি তারা মুমিনদের কষ্ট দিও না। তাদের লজ্জা দিও না! তাদের গোপন দোষ খুঁজে বের করো না। কারণ, যে ব্যক্তি অপরের দোষ খুঁজে বের করবে; মহান আল্লাহ তায়ালা তার ত্রুটি প্রকাশ করে দিবেন। আর আল্লাহ তায়ালা কারও ত্রুটি প্রকাশ মানে, ঘরে বসেও সে পথেঘাটে চরমভাবে অপমানিত হবে। (তিরমিজি শরিফ, মিশকাত শরিফ : ৪২৮)
হাদিস শরিফে মানুষের ইজ্জত সম্মান ও কারও পিছু লাগার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। মানুষকে অপমান করা বা ইজ্জত হরণ করা মহান আল্লাহর সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ। তাই কুদরতে এলাহির পক্ষ থেকেই অপমানকারীর অপকর্ম মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেওয়া হয়। লোকজন পথেঘাটে তার সমালোচনা, গালমন্দ ও ভর্ৎসনা করতে থাকে।
হজরত নাফে সূত্রে বর্ণিত, একদিন হজরত ইবনে ওমর রা. কাবা শরিফের দিকে তাকিয়ে বললেন, ওগো আল্লাহর ঘর তুমি কত বিশাল মর্যাদাবান! কত্তো সম্মানের অধিকারী! কিন্তু একজন মুমিন ব্যক্তি, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তোমার থেকেও বেশি মর্যাদাবান! (তিরমিজি শরিফ : ২/২৪)
আল্লাহ তায়ালা কোরানুল কারিমে বলেন, আমি তো মানুষকে মর্যাদা দান করেছি, জলে ও স্থলে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদের উত্তম রিজিক দিয়েছি। সৃষ্টির অনেকের ওপর আমি মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (সুরা বনি ইসরাইল ৭০)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, আমি পৃথিবীতে মানুষকে আমার প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি। কোরানে আরও বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের কেউ অপরকে উপহাস করো না। কারণ, যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তেমনিভাবে কোনো নারীও যেন অপর নারীকে উপহাস না করে। কারণ, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না। একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কারণ, ইমানের পর মন্দ নাম অতি নিন্দনীয়! যারা তওবা না করে তারাই জালিম। (সুরা হুজরাত : ১১)


শেয়ার করুন