কক্সবাজার হবে বিশ্ব কাপানো শহর!

546613_10150887718890480_1420588272_nজামাল জাহেদ :
সিংগাপুর, থাইল্যান্ড,দুবাই,সিডনি,মালেয়েশিয়া,আমেরিকার মতো যে কোন শহরকে সারা দুনিয়া কাপানো সৌন্দর্যময় শহরে পরিনত করার পেছেনে রয়েছে একেকটা মহাপরিকল্পনা দারুন রুপরেখা । আমাদের ও কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যান্য বিখ্যাত শহরের মতো গড়তে চাইলে নিতে হবে একটা রুপরেখা যা সরকার ও বেসরকারি সবার উদ্যেগে কারন এক পা নিয়ে যেমন কোন মানুষ বেশি দুর হাটতে পারেনা,তেমনি সরকার একা কক্সবাজারকে বিশ্বখ্যাত শহর করতে পারবেনা যদি না স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা না পায়।পর্যটন শিল্পের বিকাশে অনেক পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও এগুলোর তেমন বাস্তবায়ন নেই। অথচ এই সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক বিশাল উন্নতি সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। কিন্তু অতীতে কোনো সরকারই পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে না নিলেও বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ঘোষনা দিয়েছে কক্সবাজারকে উন্নত শহর করা হবে,মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে কক্সবাজার হবে আধুনিক হাইটেক বিশ্বমানের চমক জাগানো শহর।রুপরেখা করতে হবে বাংলাদেশের প্রচুর সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতে বিপ্লবের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা। এর অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় ট্যুরিজম জায়গাগুলোর সম্পূর্ণ ডাটাবেজ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা, ওয়েবসাইটভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ও আনুষঙ্গিক তথ্য এবং দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ট্যুরিজমের ব্যাপক প্রচার প্রয়োজন। যে জায়গার কোনো ট্যুরিজম ভ্যালু না থাকার পরও কৃত্রিমভাবে উন্নয়ন করে যেভাবে ট্যুরিজম সেক্টরকে চাঙ্গা করেছে কিংবা পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া তাদের ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর যেভাবে প্রসপেক্টিভ ব্যবহার করতে পারছে, আমরা সত্যিকার অর্থেই সেভাবে পারছি না। তেলসমৃদ্ধ দেশ আরব আমিরাতও ট্যুরিজম উন্নয়নে নজর দিয়েছে। আমাদের দেশে ট্যুরিজম শুধু বৈদেশিক মুদ্রাই আনবে না বরং সঠিকভাবে ট্যুরিজম স্পটগুলা খুঁজে বের করে একটি সমন্বিত উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এলে বিভিন্ন ছোট ও মাঝারি শহরগুলোরও উন্নয়ন সম্ভব,যেমন কক্সবাজারকে। ট্যুরিজম ডাটাবেজ : বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট স্পট বলতে আসলে আমরা কয়েকটা জায়গাই বুঝি, যেমন—কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালি, সোনাদিয়া,সেন্টমার্টিন, সুন্দরবন, বান্দরবান, রাঙামাটি, কুয়াকাটা, বগুড়ার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ, কুমিল্লার ময়নামতি, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, সিলেটের জাফলং। সন্দেহ নেই, প্রাকৃতিক গুণাবলীতে এই স্পটগুলা সিঙ্গাপুর অথবা দুবাই থেকে অনেক অনেক উন্নত, এমনকি মালয়েশিয়ার অনেক স্থান থেকেও উন্নত।সুতরাং বাংলাদেশের বিভিন্ন কোনায় যেখানে যেখানে যে যে ধরনের দর্শনীয়, শিক্ষণীয়, তাত্পর্যময় বা ঐতিহাসিক স্থান আছে; তার একটা পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা জরুরি।কক্সবাজারের আশেপাশে যে সৌন্দর্যময় লোকেশন রয়েছে তার তথ্যপুর্ন ডাটাবেজ তৈরি করা যাতে পর্যটকদের সুবিধা হয়,সাথে কক্সবাজার শহরের নেটওর্য়াক উন্নত করা ৩জি হতে ৪জি।অবকাঠামোগত উন্নয়ন : যে জায়গাটায় কক্সবাজার সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সেটা হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এই অবকাঠামোগুলোর মধ্যে আছে—ট্যুরিস্ট স্পট পর্যন্ত যোগাযোগের অপ্রতুল ব্যবস্থা, ট্যুরিস্ট স্পটের আশপাশে মানসম্মত থাকা-খাওয়ার (অনেক সময় শুধু বিশেষ খাবারের জন্যই একটি এলাকা ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে যায়) ব্যবস্থা এবং ভালো মানের যানবাহনের অভাব। স্বাভাবিকভাবেই কখনো ট্যুরিস্টকে যদি কোনো স্পটে যাওয়ার আগেই অনেক দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা পোহাতে হয়, সে ফের আসার ব্যাপারে উত্সাহ বোধ করবে না। সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা (যেমন—হাইওয়ে রোডে গরুর গাড়ি, ভটভটি, নসিমন-করিমন কিংবা ঠেলাগাড়ি চালানো) যেগুলো প্রতিকার করে জাতীয় মহাসড়কগুলোর উন্নয়ন প্রয়োজন। উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যেতে পারে। যেহেতু এখনও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো ঢাকা, চট্টগ্র্রাম ও সিলেট কেন্দ্রিক, তাই কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমান কোম্পানিগুলোকে ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে সপ্তাহের কয়েকটি বিশেষ দিনে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিমানবন্দরের সঙ্গে কানেক্টিং ফ্লাইট দেয়া যেতে পারে।দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে স্থানীয় প্রশাসনকে এই অবকাঠামোগুলোর সর্বোৎ্কৃষ্ট ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। এতে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারও ঘটানো সম্ভব। এদিকে কক্সবাজারে তৈরি করতে হবে ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দনপার্ক শিশুপার্ক হাইটেক পার্ক এসব প্রতিষ্ঠান ভালোই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে পর্যটকদের।সুতরাং বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটকে কেন্দ্র করে এরকম ‘অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও রাইড’ স্থাপনার জন্য পাবলিক-প্রাইভেট কোম্পানি কাজ করতে পারে।‘স্পেশাল ট্যুরিজম জোন’ তৈরি করা যেতে পারে এবং সেই জোনে একটি স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা যেতে পারে। এর জন্য তারা নামকরা বিদেশি কোম্পানি যেমন—রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড অ্যাট গেনটিং (মালয়শিয়া) এবং রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড অ্যাট সেনতোসার (সিঙ্গাপুর) ডেভেলপারের মতো কোনো কোম্পানির সঙ্গে পরামর্শ করতে পারে। এটা সত্যি যে, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অনেক বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আমাদের বিশ্বাস, এজন্য দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসবে। নিরাপত্তা : বাংলাদেশে ট্যুরিজম শিল্প বিকাশে অন্যতম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা হলো ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তাজনিত সন্তুষ্টি ট্যুরিজম শিল্প বিকাশে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় নিরাপত্তার অভাব একটি অবশ্যম্ভাবী সত্য। একটি প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস হচ্ছে ‘ব্যক্তি নিরাপত্তা’ বিঘ্নিত করার সঙ্গে যারা জড়িত অর্থাত্ ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, রাহাজানি যারা করে তাদের ব্যাপারে তথ্যাদি স্থানীয় পুলিশের কাছে থাকে এবং অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু অপকর্ম পুলিশের যোগসাজশেই ঘটে,তা থেকে সতর্ক হওয়া। প্রাসঙ্গিক হিসেবে, ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্পের’ কথা উল্লেখ করা যায়। একেবারে সোনার ডিমপাড়া হাঁসকে মেরে ডিম পাওয়ার আশা না করে ধীরে ধীরে সোনার ডিম পাওয়ার লাভটুকু বুঝতে হবে। ওয়েবসাইটভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ তথ্য : বর্তমান যুগে সবচেয়ে দ্রুত এবং দরকারী তথ্য পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট। ইন্টারনেটের যুগে সবাই প্রথমেই ‘গুগল’ সার্চ করে সংশ্লিষ্ট দেশের ট্যুরিজম সাইটগুলা দেখতে চায়। আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে ট্যুরিজমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো ‘পর্যটন কর্পোরেশন’। কিন্তু বিদেশিরা ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করবে ‘ট্যুরিজম বাংলাদেশ’ ধরনের শব্দ দিয়েই, সেক্ষেত্রে অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন’-এর ওয়েবসাইট দেখালেও নামের কারণে একটা বিভ্রাট দেখা যেতে পারে। তাই সরকারি এই ওয়েবসাইট মানসম্মত করার। উদাহরণস্বরূপ ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ’র কথা বলা যেতে পারে। আমাদের দেশের কোনো এলাকা এখনও গুগলের এই সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত না হলেও, পৃথিবীর অনেক দেশের দর্শনীয় স্থানসহ রাস্তাঘাট ও পারিপার্শ্বিক স্থানের নানামাত্রিক চিত্র সেখানে উল্লেখ রয়েছে। যে কোনো ব্যক্তি এই ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ’ ব্যবহার করে ওইসব স্থানে ঘুরে বা বেড়িয়ে আসতে পারে।মার্কেটিং বা প্রচারণা : দেশের ভেতর ছাড়াও বিদেশেও আমাদের ট্যুরিজমের ব্যাপকভিত্তিক প্রচার চালানো দরকার। এজন্য সরকারি এবং বেসরকারি দুটি মাধ্যমকেই এগিয়ে আসতে হবে। যেমন মালয়শিয়ার ট্যুরিজম নিয়ে রীতিমত পোস্টার, লিফলেট দিয়ে প্রচার করা হয়; অথচ বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা হাইকমিশন থেকে ন্যূনতম সাহায্যও পায় না।ট্যুরিজম শিল্প বিকাশে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা অবশ্য আছে। বিশেষ করে অনেকেই মনে করবেন, আমাদের দেশ মুসলিমপ্রধান, সুতরাং এ হিসেবে বিদেশি ট্যুরিস্টদের বহুল আগমনে হয়তো আমাদের সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসবের বিপরীতে আমি দীর্ঘ কোনো বিশ্লেষণে যাব না; শুধু উদাহরণ হিসেবে আমরা মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারের উদাহরণ দেব। ওইসব দেশও মুসলিমপ্রধান বরং তুলনামূলক তারা আরও রক্ষণশীল মুসলমান, কিন্তু তারপরও ওইসব দেশে ট্যুরিজম অন্যতম একটি অর্থনৈতিক খাত। আবার অমুসলমান দেশ সিঙ্গাপুরের ট্যুরিস্টদের জন্য ‘ক্যাসিনো’ বানিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে সিঙ্গাপুর নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, পুরোটাই ‘পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা’র ওপর। ট্যুরিজম নিয়ে তাই আর বসে থাকার সময় নেই। দেশের শহর ও অঞ্চল পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায়, দেশি-বিদেশি উত্সাহী ডেভেলপারদের সমন্বয়ে একটি মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি ‘সমন্বিত ট্যুরিজম’ শিল্প গড়ে তোলা। এতে যেমন দেশের অর্থনৈতিক আয়ের খাত তৈরি হবে, সেই সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগও আসবে। বিশেষ করে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের শহরগুলো (ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা ইত্যাদি) এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নিয়মিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানে ট্যুরিজম ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে যেমন শহরগুলোকে উন্নত করা যাবে।
পর্যটকদের অভিমতঃ সাম্প্রতিকতম সময়ে যোগাযোগমন্এী বিরোপ মন্তব্য করেন কক্সবাজারের সড়ক ও আবর্জনার শহর হিসাবে অবহিত করে,কোন একটা সড়ক ঠিক না থাকলে কি করে পর্যটননগরী ঘুরে দেখবে ভিন দেশি মানুষ,খুলনা থেকে আসা রবি ও মোল্লা জানান,এটা কিসের স্বাস্থ্যকর শহর ময়ল আবর্জনার শহর আর ভাঙগা সড়কের মহড়া করা শহর,কোন একটা পরিবেশ ও ভালো প্রাকৃতিক দৃশ্যপট ও কেন জানি মনুষ্যসৃষ্টি কারনে ধবংশে পথে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতঃদুনিয়ার সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত ককসবাজার অথচ বাংলাদেশকে কোন দেশ না চিনতে পারলেও সমুদ্র সৈকত গুনে চিনতে পারে বাংলাদেশকে।সেই সমুদ্রতট অরক্ষিত কোন গোসলের সুব্যবস্থা নেই,প্রতিমাসে সাগরে পর্যটকদের মৃত্যু হয় কিন্তু কেন জানেন? নিরাপওাহীনতায় এসব মৃত্যুর কারন,নেট বসানো নেই সমুদ্রে,বালিয়াড়ি গুলি নষ্ট করতেছে দিনদিন,বিলীন হওয়ার পথে ইনানী,কক্সবাজার ডায়বেটিস পয়েন্ট,ঝাউবন বালি ধরে রাখতে না পারায়,প্রতিটি জোয়ারে তলিয়ে যাচ্ছে,প্রভাবশালী কিছু সরকার দলীয় কর্মকর্তার প্রশাসনকে বৃদ্ধ আঙগুলি দেখিয়ে,সাগরের বুকে হোটেল বানিয়ে,সৈকত তটে গাইডওয়াল করলেও ১৫৫কিঃমিটার সমুদ্র সৈকতের কোথাও নেই, যেখানে সেখানে ময়লা প্রাকৃতিক ভাবে যে ভাবে আল্লাহ প্রদত্ত সমুদ্রতট তেমনি পড়ে রয়েছে সরকারের কোন নজর নেই,এটাকে যদি সরকারি উদ্যোগে উন্নত করা হয় তাহলে সমুদ্র সৈকত হয় বিশ্বের চমককৃত সমুদ্র সৈকত।উপরের সব বিষয়ে নজর দিলে কক্সবাজার পরিনত হবে বিশ্ব খ্যাত শহরে


শেয়ার করুন