কক্সবাজার স্টেডিয়াম দেখে মুগ্ধ আইসিসি প্রতিনিধি দল

2015_11_07_07_30_37_wgOvbzJB6Mjgz6O0zdA1BQtuprwXDq_originalসিটিএন:

২০১৬ সালের জানুয়ারীতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক বাংলাদেশ। এই আসরের ১৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নব নির্মিত কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তিনটি ভেন্যু, ৩৬টি উইকেট, গ্যালারী আর মাঠ তৈরীর প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। বাকি শুধু, শেষ মুহুর্তের খুটিনাটি পরখ করার পালা।

যুব বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে শুক্রবার ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আইসিসি প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন বলেছেন, ‘শুধু যুব বিশ্বকাপই নয়, সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনে সক্ষম নবনির্মিত কক্সবাজার ষ্টেডিয়াম।’ আর অন্যদিকে নিরাপত্তা ইস্যুতেও কোন ধরনের শঙ্কার কারণ দেখছে না বিসিবি।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দু’টি বিশেষ হেলিকপ্টাওে করে সাগর পাড়ের এই ভেন্যু পরিদর্শনে নামেন আইসিসি প্রতিনিধি দল। একে একে ঘুরে দেখেন ভেনুর উইকেট, আউটফিল্ড, ড্রেসিং রুমসহ সবকিছুই। প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হন আইসিসি প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন ও তার দল।

পরে সাংবাদিকদের আইসিসি প্রতিনিধি দলের প্রধান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসি। প্রথম পরিদর্শনেই আমি মুগ্ধ। এখানকার সুযোগ-সুবিধা আর সবকিছু দেখার পর মনে হচ্ছে, এটি একটি প্রথম শ্রেণীর স্টেডিয়াম।’

তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজার স্টেডিয়ামটি একটি সুন্দর মনোরম স্থানে অবস্থিত। এখানে বিশ্বের প্রতিটি দলই ক্রিকেট খেলতে এসে সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে। এটি শুধু যুব বিশ্বকাপের জন্য নয়, এই স্টেডিয়ামটি সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনে সক্ষম এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। সবকিছু দেখে আমরা সন্তুষ্ট।’

এদিকে নিরাপত্তা ইস্যুতে সম্প্রতি বেশ ক’টি বিদেশী দলের বাংলাদেশ সফর ঝুলে আছে। তাই কক্সবাজার শেখ কামাল ষ্টেডিয়ামের নিñিদ্র নিরাপত্তায় কোন খাত রাখতে চায় না বিসিবিও।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি মাহবুব আনাম বলেন, ‘আমরা অন্যান্য ভেন্যুতে যাইনি, কারণ ওইসব ভেন্যু টি২০ বিশ্বকাপের খেলা হয়েছে। এটি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য নতুন ভেন্যু। তাই বিসিবি এবং সরকার চায় ক্রিকেট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাক। তার অংশ হিসেবেই আগামী বছরে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অনেকগুলো ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই এখানকার লোকজন আমাদেরকে সহযোগিতা করুক।’

আইসিসির প্রতিনিধি দলের বিষয়ে মাহবুব আনাম বলেন, বিশ্বের সব জায়গায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। ঝুঁকিটা নিয়ে আমরা আলাপ করছি না। আমরা আলাপ করছি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা কতটুকু মজবুত এবং সেটাতে তারা সন্তুষ্ট কি না। ইতিমধ্যে তাদেরকে আমাদের প্ল্যান দিয়েছি এবং অন্যান্য এজেন্সীর সাথে তারা আলাপ করবে। তবে একটি বিষয় বলতে চাই, এর আগেও আমরা এর চেয়ে প্রতিকূল অবস্থায় টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি। সে বিষয়টি চিন্তা করলে দেখা যাবে বাংলাদেশে এ ধরণের ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা রয়েছে।

এসময় আইসিসি প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন আইসিসির ইভেন্ট প্রধান ক্রিস টেটলি, নিরাপত্তা উপদেষ্টা শন নরিস ও রেগ ডিকাসন। পরে বেলা ৩টার দিকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় প্রতিনিধি দল।


শেয়ার করুন