কক্সবাজার সরকারী কলেজে শিবির-ছাত্রদল মুখোমুখি : সাধারন শিক্ষার্থীরা আতংকে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জেলার উচ্চ শিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের আধিপত্য আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে ভুগছে। বিরোধীদলের দু’ছাত্র সংগঠনের এমন পোয়াবারো থাকলেও কলেজ রাজনীতির মাঠে নেই সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। কলেজের পরিবেশ শান্ত রাখতে সম্প্রতি জেলা সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের ঘোষণা ও নির্দেশ সত্ত্বেও ছাত্রলীগ মাঠে নেই। অন্যদিকে প্রশাসনেরও নিষ্ক্রিয়তা চরমভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের আধিপত্য বেড়ে গেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল তর্ক-বিতর্কসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার ক্লাস চলা অবস্থায় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রশিবির ও শিবির। এর পরদিন বুধবার ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করে ছাত্রদল। এ ঘটনার পর এক ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে কলেজ ক্যাম্পাসে।
অভিযোগ রয়েছে, কলেজ ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখতে অনেক দিন পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাকলে সম্প্রতি সময়ে স্থিমিত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে ছাত্রলীগও অনেকটা লাপাত্তা। এই সুযোগে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে নেমেছে।
কলেজের সাধারণ ছাত্র কুতুব উদ্দীন বলে, ‘লাগাতার হরতাল ও অবরোধ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা ক্লাস করতে আসছি। কিন্তু ক্যাম্পাসে পৌঁছেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা একেবারেই নিষ্ক্রিয়।’
মিনহাজ বলে, ‘জেলার শীর্ষ বিদ্যাপীঠ হিসেবে কক্সবাজার কলেজ ছাত্রদের আস্থার প্রতীক হয়ে আছে। কিন্তু ছাত্ররাজনীতি মাঝে-মধ্যে এখানকার সুন্দর পরিবেশকে কুলষিত করছে। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার দাবি অযৌক্তিক হতে পারে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ওসমান সরওয়ার রানা বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোন দায় নেই। তার জন্য শিবিরই দায়ী। উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আমরা এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছি।’
ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান রুবেল বলেন, ‘কলেজের শান্তি ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা নীরব ভূমিকা পালন করছি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে কলেজ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানা হয়েছে।’
মুঠোফোন না ধরায় কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি জিয়াউল হাসানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আসলে কলেজ পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। যা ঘটেছে তা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। তারপরও কলেজ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।’


শেয়ার করুন