কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদাম অপরাধীদের ভূতুড়ে গলি

food pic 1আব্দুল আলীম নোবেল/মো.জসিম উদ্দিন :

কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়া এলাকাস্থ সদর খাদ্য গুদাম অপরাধীদের ভূতুড়ে গলিতে পরিনত হয়েছে। জোয়াটি, মাদকসেবনকারী, ছিনতাইকারী, যৌনকর্মীসহ বর্তমানে নানা অপরাধীদের অনেকটা নিরাপদ স্থান এটি। গুদামে নিয়মিত ১০ জন প্রহরী নিয়োজিত থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পর্যাপ্ত বাতি না থাকাসহ নানা অনিয়ম রয়েছে খাদ্য গুদামে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে এমনই হচ্ছে বলে দায়ী করছেন এলাকার সচেতন মহল।

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার জেলার সদর খাদ্য গুদাম। খাদ্য গুদামের দেওয়ালে লিখা রয়েছে“ কক্সবাজার সদর খদ্য গুদাম সংরক্ষিত এলাকা, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ, বিনা অনুমতিতে প্রবেশকারীর ৩বছর জেল ও জরিমানা অথবা উভয় প্রকার শাস্তিযোগ্য হবে। আদেশক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশনা থাকলেও অপরাধীদের নিরাপদ আস্থনা এখন এটি। বেশ কয়েক বছর থেকে জোয়াটি, মাদকসেবনকারী, ছিনতাইকারী, যৌনকর্মীর আনাঘোনা বেড়েছে। তবে জোয়াটিরা দিন রাত জোয়ার আসর নিয়ে রামজাত্ব চালাচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তিজানান, রাত ১২ টার পর থেকে স্থানীয় জেলে, গুদামের শ্রমিক, এলাকার বকাটেরা জোয়ার আসর বসায়। বিশেষ করে এলাকার নুরুছফা, তাজল, মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ মাছন,মনজুর আলম,ফরিদ আলমের নেতৃত্বে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এছাড়া মাদকসেবনকারীরা গুদামের পেছনে বসে নিয়মিত ইয়াবা, হিরুইনসহ নানা ধরণের মাদক সেবন করে যাচ্ছে। ছিনতাইকারী ও যৌনকর্মীদেরও অতি নিরাপদ অস্থনা।

মাত্র এক সপ্তাহপূর্বে আনুমানিক রাত সাড়ে নয় ্টার দিকে অপরিচিত এক ছেলেকে খাদ্য গুদামের ভেতরে এনে কয়েক জন ছিনতাইকারী ছিনতাই করে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুদামে কর্মরত প্রহরীরা কাগজে থাকলেও দায়িত্ব পালন করতে পাওয়া যায় না।
সোমবার বিকালে গুদামে কর্মরত প্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান ও শামসুল হক প্রকাশ লালু জানান, গুদামে প্রবেশের বাধাঁ দিলে স্থানীয়রা ভয় দেখিয়ে উদ্ধত্তপূর্ণ আচরণসহ মারধর করে। ইতিপূর্বে একাধিক

প্রহরীদের কে তারা মারধর করেছে। গত ৮ বছর ধরে কর্মরত ১০ জন প্রহরীদেরকে কোন ধরণের পোশাক দেয়া হয়নি। অতচ তিন জোড়া পোশাক ও তিন জোড়া জুতা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। সাদা পোশাকে গুদামে প্রহরীরা দায়িত্ব পালন করলেও সাধারণ মানুষরা কোন ধরণের পাত্তা দেয় না।

এছাড়া গুদামের সামনের দিকে মাত্র কয়েকটি বাতি থাকলেও পেছনের দিকে কোন বাতি নেই বললেই চলে। এতে যেন মনে হয় ভূতুড়ে গলি, এমন সুযোগে অপরাধীরা সুযোগ পেয়ে বসে। অবৈধ উপায়ে গুদামের চাল বিক্রির সাথে জড়িত গতবছর বদলি হওয়া গুদাম কর্মকর্তা আয়ুব আলীর থাকাকালিন সময়ে খাদ্য গুদামে চরম অনিয়ম অবস্থাপনা ছিল। নতুন কর্মকর্তা মো সেলিম এসেও বদলাইনি এমন পরিস্থিতি। এই বিষয়ে সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন