সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত

8604

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে অবশেষে তদন্ত শুরু করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চট্রগাম বিভাগীয় পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমানীত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, যে সব বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কক্সবাজারে কোন হাসপাতাল কিংবা প্যাথলজি পরিবেশ ছাড়পত্র না পেলেও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর পরিচালনা ও মালিকানাধী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, ইট ভাটাগুলো থেকে এক কালিন কিংবা মাসিক চাঁদা আদায়, পাহাড় কেটে গড়ে উঠা কথিত আবাসন প্রকল্প থেকে একাধিক প্লট নেয়া পাহাড় কাটা বিরোধী অভিযানে গিয়ে প্রমান পাওয়ার পরও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা না নেয়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ অধিদপ্তরের রেস্টহাউজ‘মেরিন পার্ক’ ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিগত তহবিলে লাখ লাখ টাকা আদায়, আইনগত ও আদালতের নিষেজ্ঞা থাকার পরও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইটসহ মালামাল পরিবহনে উৎকোচের বিনিময়ে অনুমতি দেয়া, মামলার ভয় কিংবা চার্জশীট থেকে বাদ দেয়ার কথা বলে উৎকোচ আদায়, পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন কাজে নোটিশ দিয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে উৎকোচ আদায়,পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের অর্ধেক আর্ট স্কুল পরিচালনা করা, এসটিপি না থাকার পরও তার ভাইরা চাকুরীর সুবাদে হোটেল সী-গালে পরিবেশগত ছাড়াপত্র প্রদান এবং সব কাগজ-পত্র ঠিক থাকার পরও আবেদনের দেড় বছর পরও ছাড়পত্র প্রদান না করা ইত্যাদি।

সুত্র জানায়, সরদার শরিফুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দূর্ণীতি ও স্বজনপ্রীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে কক্সবাজারের পরিবেশ সংরক্ষণ তো দূরের কথা উল্টো তার উৎসাহে কিংবা নিরবতায় হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর কক্সবাজারে চাকুরীর সুবাদে পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন লোকজনের সাথে তার গড়ে উঠেছে মধুর সখ্যতা।তাই কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার স্বার্থে ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি(ইয়েস)কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।


শেয়ার করুন