আবারো ঘুম হারাম আ.লীগ নেতাদের

কক্সবাজার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী !

2000px-বাংলাদেশ_আওয়ামী_লীগের_পতাকা.svg_সিটিএন ডেস্ক 

দীর্ঘ ১৩ বছর পর নতুন কমিটি ঘরে তুললো কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ। সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন নব নির্বাচিত সভাপতি এড.সিরাজুল মোস্তাফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। নতুন ফসলের ঘ্রাণ নাক থেকে সরবার আগেই জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের আবারো ঘুম হারাম। তাঁদের লক্ষ্য এখন আরো নতুন কিছু পাওয়ার। টার্গেট টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী।
অসমর্র্থিত একাধিক সূত্র জানায়, কয়েক মাসের মধ্যেই কক্সবাজার জেলায় একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হবে। যাকে এই মন্ত্রীর পদ দেয়া হবে তিনি কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী কোন এক নেতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধরণের একটি সিদ্ধান্তের কথা এখন কক্সবাজারের আকাশে বাতাসে ভাসছে।
জানা যায়, মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করণ, টেকনাফের সাবরাং সহ কক্সবাজারকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে রূপায়ন, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামকে পূর্ণাঙ্গতা দেয়া, দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ, বাংলাদেশ মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের কার্যক্রম গতিশীল করাসহ বিবিধ উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এসব পরিকল্পনার বহু কাজের সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। যা আছে বাকী, তাও গতিশীল হতে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নসহ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের এই মহাযজ্ঞ তত্বাবধানের জন্য কক্সবাজার জেলার আওয়ামীলীগের ভেতর থেকে একজন দায়িত্বশীল নেতাকে বেঁছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই নেতাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে এসব উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোসহ সমন¦য় আনার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু তনয়ার।
অসমর্থিত সূত্র বলছে, দলের কাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করবেন তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিতরে ভিতরে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
আর এই সুবাতাসের হাওয়া বইতে শুরু করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ভিতরে বাইরে।
কখনো মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর নাম বলছেন, কখনো সালাহ উদ্দিন আহমদ, কখনো মুজিবুর রহমানসহ সিনিয়র আরো অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। যাদের নাম বলছেন, তা শুধু কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ তার অঙ্গসংগঠন ও সাধারণ মানুষের কথোপকথনের উপাদান মাত্র। তবে সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে মুল্যায়ন করছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে প্রবাল নিউজ নিশ্চিত হতে পেরেছে কক্সবাজারবাসী খুব শিঘ্রই একজন মন্ত্রী পাচ্ছেন।
এদিকে এই খবর ঘুম হারাম করেছে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের। মনে মনে সবাই ভাবতে শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী তাকে ভেবে রেখেছেন। নেতারা শুধু স্বপ্ন দেখছেন না ভিতরে ভিতরে কক্সবাজার জেলার এই সম্মানটি নিতে দৌঁড়ঝাঁপও শুরু করে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা বা মন্ত্রীর দুয়ারে গিয়ে সালামও দিয়ে আসছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামীলীগের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমুলের খবর রাখেন। সুতরাং এখনো বলা যাচ্ছেনা কক্সবাজার জেলার আওয়ামীলীগের কোন নেতাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করবেন। তবে তাঁদের এই গুরু দায়িত্ব নিতে নেত্রীর কাছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমানের চেষ্টায় অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান, জেলা আওয়ামীলীগের এই নেতা।
সচেতন মানুষ বলছেন, অসমর্থিত সূত্র থেকে পাওয়া কক্সবাজার আওয়ামীলীগ সিনিয়র নেতাদের থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করার সিদ্ধান্তের কথা সঠিক হলে কক্সবাজার গৌরবান্¦িত ও কৃতজ্ঞ থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এছাড়া কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কিংবা সদস্য হওয়ার জন্যও জেলা আওয়ামীলীগের ভেতরে চলছে নানা গুঞ্জন। সব কিছু মিলিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের এখন অনেকটা ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আর সাধারণ মানুষ খুশিতে হতবিহবল অনেক কিছু এক সাথে পাওয়ার আভাসে।


শেয়ার করুন