কক্সবাজারে ২০ দলীয় জোটের ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ

আটকটাইমস ডেস্ক ৥
৫ জানুয়ারি বিএনপির আন্দোলনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় কক্সবাজারে ২০ দলীয় জোটের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে রোববার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কক্সবাজার সদর থেকে জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নাসিমা আক্তার বকুলের ছোট ভাই যুবদল কর্মী শাহাদাত হোসাইন মুনিয়াকে অস্ত্রসহ আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শহরের কলাতলীর ফজলুল হকের ছেলে বিএনপি কর্মী আ. রশিদ (২৮), হাসনাকাটা এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে বিএনপি কর্মী মনছুর (২৩) ও উখিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. হাসানকে (২৫) গ্রেফতার করে রামু থানা পুলিশ।
উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজপালং দৌছড়ি এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিএনপি কর্মী মো. সৈয়দ হামজা (৩৩ ) ও দরগাবিল এলাকার রুস্তম আলীর ছেলের বিএনপির সমর্থক বাচ্চা মিয়াকে (৩৫) উখিয়া থানা পুলিশ।
কুতুবদিয়া উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের ৪ কর্মীকে গ্রেফতার করে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
এরা হলেন-কুতুবদিয়ার পূর্ব আলী আকবর ডেইল পাড়ার সৈয়দ নুরের ছেলে মো. কাইছার (২৫), মৃত হাজী মোজাহের ছেলে মো. হাসান (৪৬), জাকির আহম্মদের ছেলে রবিউল খান ও হাজীর পাড়ার মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে শফিউল আলম শফি প্রকাশ বাদশা (৪০)।
মহেশখালীর উপজেলা হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া এলাকার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জামায়াত কর্মী মো. মওদুদ মিয়াকে (৩৫) আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।
চকরিয়ায় হারবাং ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ৬ জনকে আটক করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
তারা হলো, চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত নাজির আহাম্মদের ছেলে হারবাং ইউপি জামায়াতের সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম (৩৪), বড় মুহুরী পাড়া এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ আলী (২৭), উত্তর ননুছড়ি এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত এসতাফিজুরের ছেলে এনায়েত কবির (৩৪), সৈয়দ আলমের ছেলে নুনছড়ি ওয়ার্ড শিবিরের সেক্রেটারি নবী হোসেন (২৫), ও বেতুয়া বাজার মানিকচর এলাকার মো. কালুর ছেলে বিএনপি নেতা জহির (২৬ )।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, গ্রেফতারকৃতরা ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় দ্রুত বিচার আইনের মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন