সাম্প্রতিক উপর্যপুরি দুই দফা বন্যা

কক্সবাজারে সব্জির দাম আকাশচুম্বি

11911195_416677178521115_2030581021_nমহিউদ্দিন মাহী :
জেলায় দুই দফা বন্যার রেশ কেটে উঠতে পারছে না কাঁচা তরকারীর ব্যবসায়ীরা। যার কারণে বেশি দামেই পন্য ক্রয় করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
দুই-দিন পর একটু কমলেও আবারও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলি জমি, নষ্ট হওয়াতে বাধ্য হয়ে কাচাঁ তরকারীর দাম উর্ধ্বমুখি। গতকাল শহরের একাধিক বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ঈদের আগে ও ঈদের পরে জেলার দুই দফা বন্যায় কাঁচা সবজি চাষ যোগ্য এলাকা চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, গর্জনিয়ায় প্রবল বর্ষণে ফসলি খ্যাত তলিয়ে গেছে। এই কারণে তাদের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার গড়া ফসলি খ্যাত। বন্যা দূর্গত এলাকার চাষিরা বন্যার রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছে না। সে কারণে চাহিদামত কাঁচা সবজি না আসায় মূলত কাঁচা পন্যের দাম ভাড়া।
বর্তমানে শতকরা ৭০% তরকারী জেলার বাইরে থেকে আমদানি করা হয়।
গতকাল সরেজমিনে বাজার ঘুরে কাঁচা পন্যের মূল্য দেখা যায়, যে আলো এক সপ্তাহ আগে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৫ সে আলো বেড়ে এখন ৪৫ বিক্রি হচ্ছে। করলা ৬৫ থেকে ৬০, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০, জিঙা ৬০ থেকে বেড়ে ৮০, টমেটো ৮০ থেকে ১০০, কচুর ছড়ি আগে ছিল ৫০ এখন ৪০, নতুন তরকারী হিসেবে বাজারে এসেছে মূলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া বরবটি ৭০ থেকে ৭৫, পটল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কিছুটা কমেছে শশার দাম মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, বেগুনের প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৩৫ থেকে ৪০ ও শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা পৌর বিএনপির সভাতি রফিকুল হুদা চৌধুরী জানান, কাঁচা সবজির দাম বাড়তি রাখতেছে মূলত বন্যার কারণে। কয়েক দির পর কমে গেলেও আবারও প্রবল বর্ষণের কারণে তারা বাধ্য হয়ে বাড়িয়ে দেয়।
বাড়তি মূল্যের বিষয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কমে আসবে তবে এখন নয়। যদি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে জেলার সবজি চাষ যোগ্য এলাকায় তাহলে কিছুটা কমবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।


শেয়ার করুন