কক্সবাজারে যানজটে আটকা ঈদবাজার

Jam picশাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
ঈদবাজার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই কক্সবাজার শহরে লেগে গেছে মহা যানজট। পর্যটনের এই শহরে সারা বছর নিত্য যানজট থাকলেও বর্তমানে যে যানজট চলছে তা সহনশীলতা ছাড়িয়ে গেছে। যানজট রোধে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হলেও তা কোন কাজে আসছে না। তাই ঈদবাজারে শহরমূখী মানুষগুলো যানজটের কবলে আটক পড়ে যাচ্ছে। সেই সাথে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শহরে বাস করা লোকজনও।
ভুক্তভোগীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই কক্সবাজার শহরে যানজট বেড়েছে। নিত্য দিনকার এ যানজটে পড়ে সবচেয়ে বেশী নাকাল জীবন যাপন করছে শহরবাসী। সেই সাথে বতর্মান ঈদ মৌসুমে কেনাকাটাসহ নিত্য প্রয়োজনে শহরে আসা বাইরের লোকজনও যানজটে পড়ে কাহিল হয়ে পড়ছে। কক্সবাজার শহরের যানজট সমস্যা দীর্ঘ দিনের হলেও রমজান আর ঈদের কেনাকাটা নিয়ে এ যানজট বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
যানজট রোধে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেয়া হলেও তা কোন কাজে আসছে না। বরং তারাও যানজট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, কক্সবাজার ঈদ কেনাকাটা ও ঈদে যানজট রোধে কক্সবাজার শহরে কমিউনিটি পুলিশের অতিরিক্ত ২০ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারা শহরের সব যানজট প্রবণ পয়েন্টে সকাল থেকে রাত অবধি দায়িত্ব পালন করছে।
কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌরসভা থেকে টেকপাড়া পর্যন্ত যানজট সমস্য দীর্ঘদিনের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে যানজট লেগেই থাকে। এ যানজট নিরসনে বিভিন্ন সময় নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা কোন কাজে আসেনি। আবার হাতে নেয়া পদক্ষেপ গুলো স্থায়ী না হওয়ায় মহা ঝামেলার মহা যানজট থেকে কখনো নিস্তার মেলেনি শহরবাসীর। অন্যদিকে দিনের পর দিন বেড়ে চলছে যানবাহনের সংখ্যা। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত টমটম বাড়ছে বেশী হারে। যানবাহন বাড়ার সাথে সাথে যানজটও তীব্রতর হচ্ছে প্রতিনিয়ত। স্বাভাবিকভাবে যানজট লেগে থাকলেও রমজানের শুরুতে তার মাত্রা বাড়তে থাকে। ১০ রমজান থেকে তীব্র আকার ধারণ করে। বিগত কয়েক দিন ধরে জট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে বর্তমানে চলাফেরাই দায় হয়ে পড়েছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, একদম সকাল থেকেই লেগে যায় যানজট। দুপুর ১২ট থেকে বিকাল পর্যন্ত অসহনীয় মাত্রার যানজট সৃষ্টি হয়। শহরের লালদিঘির পাড় এলাকা থেকে শুরু করে কালুর পর্যন্ত একটি যট দেখা গেছে। এই যানজট সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত লেগে ছিল। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও কোন ভাবেই তা সম্ভব হয়নি। কারণ জট এমন ভাবে লেগে আছে; যা কোন মতেই নিরসন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা করতে শহরের বাইর থেকে প্রচুর লোকজন আসছে। সেই সাথে বাড়তি যানবাহনও শহরে ঢুকছে। তাই যানজট লেগে যাচ্ছে। এমন জট নিয়ন্ত্রণের বাইরে
বাইর থেকে আসা লোকজন অনুভব না করলেও চরম ভোগান্তি পোহাতে শহরবাসীকে। কেননা প্রতিদিনের নিত্য চলাফেরায় যানজটের কবলে কাহিল হয়ে উঠেছেন তারা।
শহরের তারাবনিয়ারছড়ার এলাকার কামরুল হাসান মিনার বলেন, ‘শহরবাসী প্রতিদিন প্রতিমুহুর্ত বাসা থেকে বের হয় জরুরী প্রয়োজনে। সেই মুহুর্তে যানজটে পড়লে কাজের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে।’
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে অনেকে জানান, ছোট্ট শহর হলেও কক্সবাজার শহরে দিন দিন মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। কিন্তু সে অনুসারে রাস্তার পরিসর বাড়ছে না। না বাড়ায় সবচেয়ে বেশী অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে ট্রাফিক ব্যবস্থায়। প্রয়োজন অনুসারে প্রসার না হওয়ায় যানজট দিনে পর দিন বাড়ছে। যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে শহরবাসী।


শেয়ার করুন