প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যায়ে

কক্সবাজারে দুই সরকারি বিদ্যালয়ে আধুনিক একাডেমিক ভবন হবে

download কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হবে লিফ্ট ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সস্পন্ন দুইটি নতুন একাডেমিক ভবন। তার মধ্যে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে দশ তলা বিশিষ্ট্য ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ৮ তলা বিশিষ্ঠ্য ভবন র্নিমান করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পরিচালক ডঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
গত ৩ ও ৪ এপ্রিল কক্সবাজার সফরকারে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সহকারি পরিচালক প্রকৌশলী আবু তাহের। তিনি জানান প্রধান মন্ত্রীর অনুমোদনের ভিত্তিতে সারা দেশের ৩’শ ১২ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজারের এ দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেয়া হবে দুটি নতুন একাডেমিক ভবন। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে র্নিমান কাজ। ২০২০ সালের মধ্যে এ ৩শ’ ১২ টি বিদ্যালয়ের কাজ শেষ করার র্নিদেশ দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন “সারা দেশে ৩’শ ১২ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। আশা করছি এ বছরের ডিসেম্বারের মধ্যে সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষে এর র্কাযক্রম শুরু করতে পারবো আমরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাই আশা করতে পারি ২০২০ সালের মধ্যেই একাডেমিক ভবন দু’টির র্ণিমান কাজ শেষ করতে পারবো।”
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন বলেন “বর্তমান সরকারের উন্নয়নের দৃস্টি আমাদের বিদ্যালয়ের উপর রয়েছে দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন একাডেমিক ভবনের খুব বেশি প্রয়োজন ছিলো আমাদের ছেলেদের। ইতোমধ্যে কয়েকটি ভবন ঝুকিপূর্ণ বলে সেখানে পাঠ দান আমরা বন্ধ রেখেছি।”
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন বলেন “আমাদের কিছু শ্রেনী কক্ষ ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সেসব শ্রেনী কক্ষ আমরা ব্যবহার করতে পারছিনা। তাছাড়া ছাত্রীদের জন্য কমন রুম অত্যন্ত প্রয়োজন। নতুন ভবন পেলে আমাদের শ্রেনী কক্ষ সংকট দূর হবে। এসব সমস্যা ছাড়াও মত বিনিময় সভায় বিদ্যালয়ের আরো বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যা সমূহ একে একে দূরীভূত করা হবে বলে অধিদপ্তর জানিয়েছেন।”


শেয়ার করুন