কক্সবাজারে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের বর্ণিল উদ্বোধন

file

কক্সবাজারে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ এর বর্নাঢ্য উদ্বোধন হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বুধবার সকাল ১১ টায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন ও সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন। এতে বক্তারা বলেন “জল আছে যেখানে মাছ চাষ সেখানে” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও (১৯ থেকে ২৫ জুলাই) সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। দুইদিকে বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত উপকূলীয় কক্সবাজার জেলার সকল প্রাকৃতিক জলাশয় মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ। এর পাশাপাশি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় স্হানীয় জনগনের অংশগ্রহনে এ জেলায় চাষকৃত মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধি ঘটেছে। জেলার উপকূলীয় এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করলে প্রতিবছর দশ হাজার কোটি টাকারও অধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, কক্সবাজারে এখন কাঁকড়া চাষেও এগিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তা-চাষীরা। রপ্তানীযোগ্য বাণিজ্যিক কাঁকড়া চাষে অবদান রাখায় কক্সবাজারের উদ্যোক্তা অংছিন এ বছর স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ারুল নাসের, জেলা অাওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, একাধিকবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিংড়ি রপ্তানীকারক সালাহ উদ্দীন আহমদ সিআইপি, মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র নবাগত উপ সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক, ১০ একর চিংড়ি প্রকল্প মালিক সমিতির সভাপতি মেহেরুজ্জামান ও টেকনাফ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দীন প্রমূখ। কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ শফিকুর রহমান, দশ একর/এগার একর চিংড়ি প্রকল্প (এডিবি)’র প্রকল্প ব্যবস্হাপক মিজানুর রহমান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ, কক্সবাজার যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডেপুটি কো অর্ডিনেটর একেএম ফজলুর রহমান, কক্সবাজার লবন শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের ডিজিএম আবছার উদ্দীন, ওয়ার্ল্ড ফিশ’র কক্সবাজারস্হ ল্যাবরেটরী ম্যানেজার পার্থ প্রতিম দেবনাথ, কক্সবাজার মৎস্য অবতরন কেন্দ্রের ব্যবস্হাপক শরীফুল আলম, জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, শ্রীম্প হ্যাচারী এসোসিয়েশন কর্মকর্তা এস এম বাবর, হাশেমিয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রভাষক তৈয়ব তাহের সিকদার ও কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জুয়েল প্রমূখ এতে উপস্থিত ছিলেন। সাগরে মৎস্য আহরণে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্হ জেলেদের পরিবারকে এসময় বিশেষ অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য সড়ক র‍্যালী শুরু হয়ে মোটেল শৈবাল প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এরপর সংলগ্ন সাগরিকা লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। জেলে-মৎস্যজীবি, চিংড়ি চাষী-উদ্যোক্তা, ফিশিং বোট মালিক-শ্রমিক, বরফকল শ্রমিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীসহ মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক জনগন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উক্ত অনুষ্ঠান-র‍্যালীতে অংশগ্রহন করেন।


শেয়ার করুন