কক্সবাজারে গণশিক্ষা মন্ত্রীর মতবিনিময়

181-400x225নিউজ ডেস্ক :

যেখানে শতকরা ৯০ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষার্থী সৃজনশীল প্রশ্নমালাই বুঝতে পারেন না সেখানে পাশের হার শতকরা ৯৮ ভাগ হয় কিভাবে-এমন একটি প্রশ্ন উঠেছে আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায়। খোদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি’র উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় এমন একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হলেও এর কোন সুনির্দ্দিষ্ট জবাব মিলেনি।
প্রাথমিক শিক্ষার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা রাশেদা বেগম বক্তৃতার সময় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা পাশের হারে এগুলেও সার্বিক শিক্ষার মানে পিছিয়েছি। ’ তবে মন্ত্রী এ সংক্রান্ত বিষয়ে সুনিদ্ধিষ্টভাবে কোন কিছুই ব্যক্ত করেননি।
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে অনুষ্টিত এক মত বিনিময় সভায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন আলোচিত এমন প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় তিনি সভাপতিত্ব করছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি।
মন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। কারও সংসারে এখন আর অনটন থাকার কথা নয়। দয়া করে শিক্ষার্থীদর একদম আপনজন হিসাবে নিয়েই পড়াতে হবে। পড়ানোর কোন বিকল্প যেমনি নেই তেমনি শিক্ষার মান নিয়েও কোন আপষ নেই। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত এ মত বিনিময় সভায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তাগন ছাড়াও ৮টি উপজেলার ৫ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। মত বিনিময় সভায় মহেশখালী দ্বীপের ঘটিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম বলেন-‘আমার স্কুলটিতে এক হাজার ৪১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অথচ বসার জন্য আছে মাত্র ১৮২ টি টুল (বেঞ্চ)। একারণে কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ফ্লোরে বসেই পড়ালেখা করে। এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষকও রয়েছেন মাত্র ৭ জন।


শেয়ার করুন