সিটিএন'র সাথে একান্ত আলাপচারিতায় চিত্রশিল্পী তানভীর সরওয়ার রানা

কক্সবাজারে আর্ট-কলেজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা আছে

11215091_714194478713295_8999857103133040887_n

কক্সবাজারে আর্ন্তজাতিক দ্বি-বার্ষিক চিত্রপ্রদর্শনী সর্ম্পকে একান্ত আলাপচারিতায় ককসবাজারের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের ছোটভাই চিত্রশিল্পী তানভীর সওয়ার রানা চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজ থেকে বিএমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন পেশাদার চিত্র শিল্পী হিসেবে আন্তুর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি রামু সেনানিবাসের ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। ইতিপূর্বে শিল্পী রানা আমেরিকা, কানাডা, ইউ এ ই, ভিয়ানাসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি দেশে চিত্রশিল্প নিয়ে কাজ করছেন ।

তানভীর সরওয়ার রানার সাথে সিটিএন’র পক্ষে মুখোমুখি হয়েছেন মফস্বল সম্পাদক আবদুল আলীম নোবেল।

সিটিএন : আপনি একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক দ্বি-বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী সর্ম্পকে কি বলবেন ?

তানভীর সরওয়ার রানা : আসলে এটি দেশি-বিদেশি চিত্রশিল্পীদের নানা রঙ-এ আঁকা শিল্পকর্মগুলোকে কোন স্থানে সামগ্রীকভাবে প্রদর্শন করানো। শিল্পীদের আঁকা ছবির মাধ্যমে সমাজের নানাদিক তুলে ধরা যায়। এতে সমাজ নানা ভাবে উপকৃত হয়। যেমন, লিওনাদো দ্যা বিঞ্চি তাঁর আঁকা ৩০টিরও বেশি চিত্র শিল্পকে অনুসরণ করে বিজ্ঞানিরা নানাভাবে নূতন আবিষ্কারের দিক খোঁজে পেয়েছেন। এমনকি এক, একটা ছবি পরবর্তি সময়ে নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। আঁকা ছবির পেছনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট, বেদনা,হাসি, কান্নার বিভিন্ন দিক সাধারণ মানুষ বুঝে না। সেখানে লুকিয়ে থাকা নিরব ভাষাগুলোই শিল্পীদের শিল্প।

12002179_714194355379974_6759434126334256515_nসিটিএন : এই ধরনের আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে কক্সবাজারকে কিভাবে দেখছেন ?

তানভীর সরওয়ার রানা : সীমিত সময়ের মধ্যে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি পর্যটন এলাকা ঘুরার সুযোগ হয়েছে। সেখানে আমি দেখেছি পর্যটন শিল্পকে নিয়ে সুনাম অর্জন করা দেশগুলো প্রথমে চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্মকে অনুসরণ করে এগিয়ে যায়। তেমনিভাবে প্রকৃতির নান্দনিক পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে শিল্পীদের শৈল্পিক আঁকা চিত্রকর্ম অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে গেলে কক্সবাজার বিশ্বের দরবারে আরও একধাপ পরিচিত হয়ে উঠতে পারে।

সিটিএন : এই ধরনের চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমাজ কি পেতে পারে ?

তানভীর সরওয়ার রানা : শিল্প একটি ঘুমন্ত সমাজকে চিত্রশিল্পীদের আঁকানো নিরব ভাষার মাধ্যমে বিশ্বায়নের সাথে যুগ-সূত্রের বন্ধন হয়। এটি সমাজ পরিবর্তনে বৈজ্ঞানিকদের পরপরই চিত্রশিল্পীদের অবস্থান। তাই তো একজন ভালমানের চিত্রশিল্পী পারে সমাজটাকে পরিবর্তন করতে পারে। মাত্র কিছু কম শিক্ষিত মানুষ চিত্র শিল্পকে বিনোদনের ক্ষেত্র হিসাবে মনে করলেও আসলেও জ্ঞানী লোকরা এই শিল্পকর্মকের অন্তরালে অনেক কিছু জানার শিখার আছে বলে মনে করেন। অতীতে বিশ্বে বড় বড় শিল্পীদের আঁকানো ছবি থেকে সমাজ অনেক কিছু পেয়েছে। যে কোন বড় ক্ষেত্রটাকে ছোট করে শিল্পীর মনের মাধুরি দিয়ে নারা রং-এ এঁকে ভাষা প্রকাশ করার নাম আর্ট।

সিটিএন : স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?

তানভীর সরওয়ার রানা : কক্সাবাজার পাবালিক লাইবে্িররতে চার দিনব্যাপি চলা আন্তর্জতিক মানের চিত্রশিল্প প্রদর্শনে আসার আহবান করছি। কক্সবাজার ইতিপূর্বে ছোট পরিসরে এই ধরনের একাধিক আনুষ্ঠান হলেও এই প্রথম বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা অভিজ্ঞ চিত্রশিল্পেদের অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ করছে দ্বি-বাষিক চিত্র প্রদর্শনী। এই ধরনের শিল্পকর্ম বাড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।একই সাথে পর্যটন ব্যবসায়িদেরকেও অনুরোধ করছি আন্তর্জাতিক মানের চিত্রপ্রর্দশনীর আয়োজন করে পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তোলে ধরা যায়।

সিটিএন : কক্সবাজার নিয়ে কিছু ভাবছেন কি না?

তানভীর সরওয়ার রানা : আমার মরহুম পিতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী যেমন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে আজীবন কাজ করে গেছে তেমনিভাবে আমারও কক্সাবাজারে একটি আর্ট কলেজ করার পরিকল্পা আছে। এটি বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি আর্টকে নিয়ে আমার পর্যটন নগরী কক্সাবাজারকে বিশ্বের দরবারে অনেক দূর নিয়ে যেতে চাই। 

সিটিএন : এতক্ষণ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

তানভীর সরওয়ার রানা : সিটিএন কর্তৃপক্ষ, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে ধন্যবাদ।

 

 


শেয়ার করুন