কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে

সাউথ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে কক্সবাজারে। বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প খাতকে আরও সমৃদ্ধ ও বিদেশী পর্যটকদের সবধরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য বেসরকারী উদ্দ্যেক্তা রিথিংক নামক একটি প্রতিষ্ঠান একুরিয়াম নির্মাণে এ মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ^ পরিমন্ডলে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে আসবে এমনটা মনে করছেন পর্যটক বিশ্লেষকরা।

দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কনফারেন্স সভা গতকাল উখিয়ার ইনানী রয়েল টিউলিপ সী-র্পাল বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি ছিলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এস.এম গোলাম ফারুক, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজামান খান কবির, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্ণেল(অব) ফোরকান এবং সিভিল এভিশয়নের কর্মকর্তা।একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও পর্যটকদের সুবিধা সমূহ উপস্থাপন করেন রিথিংক এর উদ্যেক্তা এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লুলু আল মারজান। এসময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের কনসান্টেল নিউনিউ বেইন, ঝেং পেইলিং, ও এন্ডু চিউ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পর্যটন মন্ত্রী রাশেদখান মেনন বলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন সম্ভবনা খাত কে সমৃদ্ধ ও প্রসার করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতি মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন শিল্পকে বিবেচনা করে মেরিন ড্রাইভ নির্মানের পাশাপাশি, কক্সবাজারকে আর্ন্তজাতিক মানের বিমান বন্দর, সাবরাংকে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজোন সহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দ্রুততার সহিত বাস্তবায়িত হচ্ছে। পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্প প্রসারে কক্সবাজার হবে বিশে^র সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আন্তর্জাতিক মানের এ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

রিথিংক এর উদ্যেক্তা এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লুলু আল মারজান বলেন সাউথ এশিয়ার সর্ববৃহৎ একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পর্যটন খাতের অপার সম্ভবনাময় কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসাবে পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করবে। দেশি- বিদেশী পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকখাত থেকে সরকার ৩০ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রায় পৌছাতে পারবে। তিনি আরও জানান বিশাল সমুদ্রের তীরবর্তীতে একুরিয়ামের জলজ প্রাণী,নানা জীববৈচিত্র উপাদানের উপস্থিতি ও আন্তর্জাতিক মানের গেইমপার্ক থাকবে। এছাড়াও পৃথিবীর সকল দেশের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য ২০ ধরণের ডাইনিং সহ বিনোদন নাইট হোল্ডের সুযোগ রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে প্রচন্ড আগ্রহ বাড়বে।


শেয়ার করুন