ওয়াজ-তাবলীগ-আযান নিয়ে এবার যা বললেন তাসমিমা হোসেন

TASMIMA-HOSSENসিটিএন ডেস্ক:
“ওয়াজ-তাবলীগ বন্ধ করা উচিত, আযানে শব্দ দূষণ হচ্ছে” – বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তাসমিমা হোসেনের এমন বক্তব্যের ব্যাখা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বর্তমান সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমীমা হোসেন।
গতকাল শনিবার সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। সেখানে উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের সম্পাদকরা যোগ দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমীমা হোসেন।
সেখানে নিজের বক্তব্যের সময় তাসমীমা হোসেন বলেন, “ফার্মগেটে একটি পার্ক দখল করে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সাথে কয়েকজন মন্ত্রীরও সমর্থন রয়েছে। এভাবে শহরের মধ্যে যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, তাবলিগ বন্ধ করা উচিত। মসজিদ থেকে মাইকে উচ্চ শব্দে আজান দিয়ে শব্দ দূষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যাদের আজান শোনা দরকার তারা প্রয়োজনে মসজিদের সাথে ইলেট্রনিক মাধ্যমে নিজেদের কানে লাগিয়ে শুনতে পারে।”
তার এমন বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশের পর আজ তিনি এর ব্যাখা দিয়ে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে গত ২৩ জানুয়ারি হোটেল সোনারগাঁওয়ে সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় করেন মেয়র আনিসুল হক। এই মতবিনিময় সভায় ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে আমি শব্দদূষণ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলি, যার অংশবিশেষ পত্রিকায় গত ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক এখন সচেতন নাগরিকমাত্রই জানেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এর ক্ষতির দিক সবিশেষ উল্লেখ করার মতো। শিক্ষার্থীদের জন্য শব্দদূষণ বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি করে। পবিত্র কুরআন শরিফেও মহান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, কাউকে সীমালঙ্ঘন না করতে। মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর শব্দদূষণের সেই সীমাও নিশ্চয়ই লঙ্ঘন করা উচিত নয়। মূলত এসব বিষয়কে সাধারণভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে আমি যা বলতে চেয়েছি তাতে কিছু অস্পষ্টতা ছিল। মহান আল্লাহ তায়ালা কোনো কিছু অপচয় পছন্দ করেন না। শব্দ একটি শক্তি। তিনি নিশ্চয়ই শব্দশক্তির অপচয়ও পছন্দ করেন না। একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামের ধর্মীয় মূল্যবোধ আমার ভেতরে সবসময় জাগরূক রয়েছে। জীবনযাপনের সর্বক্ষেত্রে সেই মূল্যবোধ থেকে আমি পরিমিতি বোধের পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করি এবং তা বলেও থাকি। ইসলামি এই মূল্যবোধের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে কিছু অসঙ্গতি ও অসম্পূর্ণতা থেকে যেতে পারে। আমি মূলত বলতে চেয়েছি, শব্দদূষণ না ঘটিয়েও যেকোনো ইসলামি অনুষ্ঠান ও আচরণবিধি পালন করা সম্ভব।
আমার বক্তব্যে কোথাও কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে থাকলে আমি দুঃখিত এবং একজন মুসলমান হিসেবে খুবই বিব্রতবোধ করছি। বিষয়টি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি।


শেয়ার করুন