সু চির উদ্দেশে তোফায়েল

এসব কি শান্তির নমুনা?

বাংলাদেশের পক্ষে এত রোহিঙ্গার বাসস্থানের ব্যবস্থা করা দুরূহ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার অমানবিক কাজ করে চলেছে। আমাদেরও তো সক্ষমতা থাকতে হবে। মঙ্গলবারও ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’ শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির উদ্দেশে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এসব কি শান্তির নমুনা?’

সচিবালয়ে আজ বুধবার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে বাংলাদেশের ভার কিছুটা কমত। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আহ্বান করেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্য দেশগুলোরও উচিত এই দুর্যোগকে ভাগাভাগি করা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মানবিক দিক থেকে দেখছি। টেলিভিশনে দেখেছি একজন বৃদ্ধা, আমার মায়ের মতো, হাঁটতে পারেন না ঠিকমতো। পালিয়ে চলে এসেছেন বাংলাদেশে। মায়ের কোলে ছোট ছোট শিশুরাও আছে। আহারে, কী কষ্ট! মিয়ানমার সরকারের উচিত তাদের ফিরিয়ে নেওয়া।’

অং সান সু চির উদ্দেশে তোফায়েলের প্রশ্ন, ‘এসব কি শান্তির নমুনা? সুচির মধ্যে কি কোনো মানবিকতা নেই?’

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের চলমান সহিংসতা বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। মিয়ানমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাদের উচিত এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা।’

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে মালদ্বীপ, বাংলাদেশও তেমন কিছু করবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ‘মালদ্বীপ ছোট দেশ, অনেক দূরের। তারা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ তো সেই পর্যায়ের না।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সোমবার না মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, এই সরকারের অধীনে তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না। আমি বলব, এই আশা ত্যাগ করুন। এই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’

বিএনপি নির্বাচনে না গেলে নির্বাচন থেমে থাকবে না বলেও মনে করেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, অনেক দল আছে দেশে। জাতীয় পার্টিও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।


শেয়ার করুন