এসআই মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বাধা নেই

masud-mama--400x289সিটিএন ডেস্ক:

পুলিশের নির্যাতনের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর অভিযোগ (এফআইআর) মামলা হিসেবে নিতে আইনি কোনো বাধা নেই।
বিষয়টি জানিয়েছেন রাব্বীর বিষয়ে রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
খোকন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার বিচারপতির দেয়া তিন দিনের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল।
গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট মামলা গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
এ ছাড়াও গোলাম রাব্বীকে নির্যাতন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রাব্বীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে কেন নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে প্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাব্বীর করা লিখিত অভিযোগ ‘এফআইআর’ হিসেবে নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। এবং আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৫ জানুয়ারি কার্যতালিকায় আসেনি। এবং চেম্বার আদালতে ও হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেনি। এতে করে স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে। তাই হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকবে।
ওই রুলে স্ব-রাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার, মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ সিকদার ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রোববার নির্যাতনের ঘটনায় তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন ঘটনার দিন রাব্বীকে উদ্ধারকারী তার বন্ধু সাংবাদিক জাহিদ হাসানসহ সুপ্রিমকোর্টে দুইজন আইনজীবী।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক গোলাম রাব্বীকে আটক করেন মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ইয়াবা ব্যবসায়ী-সেবনকারী বানানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তারা।
এর পর রাত ৩টা পর্যন্ত তাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ান এবং মারধর করেন। এমনকি তাকে বেড়িবাঁধে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকিও দেন।
পরদিন সকালে এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রাব্বেী। তবে তা মামলার হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। পুলিশের মারধরের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দপ্তর।
গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এসআই মাসুদকে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ১১ জানুয়ারি সকালে তাকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।


শেয়ার করুন