এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ে নোঙর করল 

জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

সিটিএন ডেস্ক :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। সোমবার (২২ এপ্রিল) জাহাজটি থেকে কয়লা খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। কালবেলাকে তিনি বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে দুজন নাবিক উড়োজাহাজে করে দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন জাহাজে করে। তারা সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবেন। জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, জাহাজটি আল-হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছে। জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, কয়লা খালাসের জন্য জাহাজটির আজ রাতেই (গতকাল) জেটিতে ভেড়ানোর কথা রয়েছে। তা না হলে সোমবার জাহাজটি জেটিতে ভিড়বে। বন্দরের জেটিতে বার্থিং পাওয়ার পণ্য খালাস করতে আরও ৪-৫ দিন লাগতে পারে।

প্রায় ৩৩ দিনের জিম্মিদশার পর ১৩ এপ্রিল রাত ১২টা ৮ মিনিটে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এই পথ পাড়ি দিয়ে আট দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি।


শেয়ার করুন