“এমপি বদির চ্যালেঞ্জকে ভ্যা ভ্যা ই মনে হয়”- ছাত্রলীগ সভাপতি

sসিটিএন ডেস্ক :

টেকনাফ-উখিয়া আসনের সাংসদ আব্দুর রহমান বদি’র বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন যে, বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীক কয়েকটি অনলাইন নিউজে কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছাপা হওয়া বিবৃতি আমার চোখে পড়েছে।

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের স্ট্যাটাসটি নিম্নে উল্লেখ করা হল :

মন ভালো নাই।চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি আরিফের মা আজ বিকালে মৃত্যু বরণ করেছেন। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসিব করুক,এই দোয়া করি।

মন খারাপ নিয়েও লেখাটা লিখতে হচ্ছে।কারণ চোরের মা’র বড় গলা! ভালো লাগেনা অার এই সব।

বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীক কয়েকটি অনলাইন নিউজে কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির ছাপা হওয়া বিবৃতি আমার চোখে পড়েছে।

বিবৃতিতে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এবং স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের করা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক।

আবদুর রহমান বদি’র এই চ্যালেঞ্জ এর বিষয়ে কিছু কথা বলা অতীব জরুরী।তবে অামি যা বলবো তা একপর্যায়ে অর্থহীন হয়ে যাবে।

কারণ উনি উনার বিরুদ্ধে করা
সকল অভিযোগের জবার দেন মাত্র এক লাইনে।উনি মুখস্থ বলবেন,সব ষড়যন্ত্র।তাই উনার এই চ্যালেঞ্জটাও আমার কাছে হাস্যকর।

আবদুর রহমান বদি চ্যালেঞ্জ করেছেন ভালো কথা,যদি সাহস থাকে সামনে আসেন অথবা আমাকে আমন্ত্রণ জানান। মুখোমুখি কথা বলতে চাই আপনার সাথে।সামনে গণমাধ্যম থাকবে।সব কিছু স্পষ্ট হবে,কে ষড়যন্ত্রকারী তা জানবে সবাই। জানবে তৃনমূলের নেতৃবৃন্দ।

আর যদি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েই আপনি চুপ থাকেন,ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আমার প্রস্তাবে রাজি না হন তাহলে বুঝে নিবো,তেলাপোকা যেমন পাখি,আপনার চ্যালেঞ্জও ঠিক সেরকম।

আপনার বোঝা উচিৎ…
দেশের অন্যান্য জেলার এমপি,মন্ত্রী বা আওয়ামীলীগ এর নেতারা সেই জেলার ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটের নেতা-কর্মীদের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে।সুখে,দু:খে তারা ছাত্রলীগের পাশে থাকেন।

অথচ আপনি এমন একজন এমপি
যাকে আপনার নির্বাচনী এলাকা
যে জেলায় অন্তর্ভুক্ত সেই জেলার ছাত্রলীগ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

আমি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও রাশেদ সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি নিজেদের ভেতরে যাতে কখনও মতবিরোধ বা কোন্দল না হয়।অনেক বিষয়ে আমরা দুজন একমত হতে পারি নি,ছোট ছোট বিষয়ে অনেক মান অভিমান হয়েছে।

কিন্তু বদি সাহেব…
আপনি এমন এক নেতা যে আপনাকে লাল কার্ড দেখাতে বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে আমাদের কোন পিছুটান ছিলো না,ভয় ছিলো না,ছিলো না বিন্দু পরিমান শঙ্কা।

যে নেতা আওয়ামীলীগ এর এমপি হয়েও দেশরত্ম শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় এন্টি আওয়ামীলীগ নিয়ে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে,যে নেতা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে জামায়াত-বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে,যে নেতা ইয়াবা ব্যবসা করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে….
সে নেতা না এমপি না গডফাদার/মাফিয়া তা গোনার টাইম অামাদের নাই।আর তার দেওয়া চ্যালেঞ্জকে অামার কাছে ছাগলের ভ্যা ভ্যা ই মনে হয়।

আবারও বলছি,সাহস থাকলে সামনে আসুন,গণমাধ্যমের সামনে আমি আপনার সাথে ২০ মিনিট কথা বলতে চাই। মাত্র ২০ মিনিট!

উল্লেখ্য টেকনাফ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রাথীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রাথীদের জয়ী করার জন্য কাজ করেন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন কক্সবাজার জেলার ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।অন্যদিকে হোয়াইকংয়ে বিজিপি কর্তৃক কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেনস্তার শিকার হলে এটির দায়ও সাংসদ বদির উপর চাপানো হয়। ফলে সকল সার্বিক বিষয় নিয়ে আজ একটি বিবৃতি প্রদান করেন সাংসদ আব্দুর রহমান বদি। সেখানে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।


শেয়ার করুন