এবার চেয়ারম্যান পেটালেন উপমন্ত্রী জয়

07_291105-400x266সিটিএন ডেস্ক:
আকস্মিক হট্টগোলে প- হয়ে গেছে নেত্রকোনা কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আর এ বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তিনি পছন্দের নেতৃত্বের বিরোধিতা করায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের মারধর করেছেন। এ অবস্থায় হাতাহাতি ও সংঘর্ষে সম্মেলন প- হয়ে যায়।
কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী নিজে আমাকে মেরেছেন। তাঁর চাচাতো ভাই আবুল বাশারকে সভাপতি প্রার্থী করা হয়েছে। সম্মেলনে বাশার ফেল করবেন বলেই এ আক্রমণ।’
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ও তাঁর বড় ভাই নুর খান মিঠুকে বারবার ফোন করলেও তাঁরা মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল নেত্রকোনা সদর উপজেলার কালিয়ারা গাবরাগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরিফ খান জয় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু, যুগ্ম সম্পাদক নুর খান মিঠু, সদর থানা আওয়ামী লীগ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জি এম খান পাঠান বিমল। এ ইউনিয়ন উপমন্ত্রীর নিজের এলাকা। ছয়-সাত মাস আগে এ ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে।
উপমন্ত্রী জয়ের বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর খান মিঠু। তিনি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে চাইছেন চাচাতো ভাই আবুল বাশারকে। সম্মেলনে কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে প্রথম অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ আগে নুর খান মিঠুর সঙ্গে তর্ক হয় সাবেক সভাপতি আমজাদ চেয়ারম্যানের। তিনি এককভাবে ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও কাউন্সিলর তালিকা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে গালমন্দ করেন আমজাদকে। এ সময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ খান বিমলের সঙ্গেও মিঠুর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরিফ খান জয় ও তাঁর বড় ভাই নুর খান মিঠু অ্যাডভোকেট বিমলকে ধাক্কা দেন। এরপর সভাপতি প্রার্থী আমজাদ চেয়ারম্যানের ওপর চড়াও হন তাঁরা। তাঁদের কিল-ঘুসি মারা হয়। এ সময় উপমন্ত্রীর অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলকেও মারধর করেন। এ পরিস্থিতিতে উপস্থিত কাউন্সিলররা হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর শুরু হয়। একপর্যায়ে নেতারা সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। গতকাল সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেটিও হয়নি বলে জানা গেছে।
নেত্রকোনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল স্থানীয়ভাবে উপমন্ত্রীর মামা হিসেবেই পরিচিত। তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আমি কাউন্সিলর তালিকা করেছি। এবারও করেছি। কিন্তু এবার যা ঘটেছে তা দুঃখজনক।’ কালের কণ্ঠ


শেয়ার করুন