এড. খালেকুজ্জামানের ৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

AD Khlequeuzzama (B-16.01.1953,D-28.10.2001)প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজার-রামুর সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মরহুম এড. খালেকুজ্জামানের দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার আজ ১৪তম বর্ষপূর্তি। ২০০১ সালের ২৮ অক্টোবর জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে রামুর এক বিশাল জনসভায় তিনি ইন্তেকাল করেছিলেন। প্রতিবছর ‘এডভোকেট মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান স্মৃতি পরিষদ’ তাঁর স্মরণে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপন করে থাকে। বরাবরের মত এবারেও দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিনে দুঃস্থ মানুষের মাঝে গোস্ত বিতরণ, খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল ও মরহুমের ছবি সম্বলিত পোষ্টার লাগানোর মাধ্যমে মরহুম এড. খালেকুজ্জামানকে স্মরণ করা হয়। মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের ছোট ভাই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিজ্জামান মরহুমের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য দেশের রাজনীতিতে দলাদলি, গ্রুপিং এর ঘটনা অনেক পুরানো হলেও আজকের মত কুৎসিত দৃশ্য হয়ত অতীতে ছিল না। চরম মতদ্বৈততার পরেও সেকালে ছিল রাজনীতিবিদদের মধ্যে পরষ্পর সৌহার্দ্য। পরষ্পর বিরোধী রাজনীতিকদের মাঝে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথাও ইতিহাসে রয়েছে। কিন্তু মতদ্বৈততা থেকে এখন হানাহানি, খুনাখুনী পর্যন্ত গড়াচ্ছে রাজনীতিবিদদের সর্ম্পক। এটি আরো কুৎসিত হয় যখন একই দলের মধ্যে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। দলীয় কোন্দলের কারণে এ রকম একটি কঠিন এবং নির্মম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছিল কক্সবাজার-রামুর সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এডভোকেট খালেক্জ্জুামানকে।
কক্সবাজার-রামুর জনগণের ভালবাসায় সিক্ত খালেকুজ্জামান কক্সবাজার-রামুবাসীর ভালবাসার মূল্য দিতে গিয়ে তাদের জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। ২৮ অক্টোবর’২০০১ রামুর লাখো মানুষের জনসভায় হেসে হেসেই তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেলেন।

রামু-কক্সবাজারের জনগন সেদিন তাদের ভালবাসার মানুষটির এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি। তারা ভুলতে পারেনি খালেকুজ্জামানের নিরহংকারী অমলিন চেহারা। তারা খালেকুজ্জামানের ভালবাসার মূল্যায়ন করেছিলেন পরবর্তীতে তাঁর ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সহিদুজ্জামানকে বিপুল ভাবে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়ে। মরহুম এড, খালেকুজ্জামান অহিংস রাজনীতি ও সবাইকে ভালাবাসার যে রাজনীতি দিয়ে কক্সবাজার-রামুবাসীর মন জয় করেছিলেন আজ এই অঞ্চলের জনগন সমাজে তার বড়ই অভাব অনুভব করছেন।


শেয়ার করুন