একদিনের মধ্যে বক্তব্য থেকে সরে এলেন অর্থমন্ত্রী

সিটিএন ডেস্ক:

 

Muhit-2 মুহিত২৪ ঘণ্টার আগেই নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবার বললেন, ‘১ টাকা ও ২ টাকার নোট বাজারে থাকবে। মানুষ ব্যবহার না করলে তা আপনা আপনি বাজার থেকে ওঠে যাবে।’

সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে আন্তর্জাতিক অটিজম এবং অর্থপেডিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১ ও ২ টাকার নোট এখনই ওঠে যাচ্ছে না। যে সব নোট বাজারে রয়েছে সেগুলো চলতে থাকবে। এটি একটি প্রক্রিয়া। যখন সবকিছুর মূল্য ৫ ও ১০ টাকায় চলে আসবে তখনই ১ ও ২ টাকার নোট তুলে নেয়া হবে বাজার থেকে।’

তবে গতকাল রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নতুন মূল্য সংযোজন কর (মুসক) আইন নিয়ে এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক ও দুই টাকার নোট ও কয়েন কোনোটাই থাকবে না বাজারে। সরকারি মালিকানায় দেশের সর্বনিম্ন মুদ্রা হবে ৫ টাকা। পুরনো এক ও দুই টাকার নোটগুলো বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। এগুলো ধ্বংস করতে ৩০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে।’

তার ওই বক্তব্যের পর বিভিন্ন মহল থেকে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এটাকে একটি অযাচিত ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ছোট লেনদেনে সমস্যা হবে। মানুষ বেশি দামে জিনিস কিনতে বাধ্য হবে। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই অবস্থায় একদিনের মাথায় মত পাল্টান আবুল মাল আবদুল মুহিত। বললেন, ‘১ টাকা ও ২ টাকার নোট বাজারে থাকবে। মানুষ ব্যবহার না করলে তা আপনা আপনি বাজার থেকে ওঠে যাবে।’

এদিকে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অটিজমের ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। বিষয়টি শিশুদের যেমন জানতে হবে তেমনি পরিবার ও সমাজকেও সচেতন হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ড. শাহেলা খাতুন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সালান প্রমুখ। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১ টাকার ধাতব মুদ্রা পাওয়া যায়, যদিও এক সময় এক টাকার কাগুজে নোট ছিল। অন্যদিকে দুই টাকার ধাতব মুদ্রা ও কাগজের নোট দুটোই বাজারে রয়েছে। এই দুই ধরনের মুদ্রা বের করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা ও নোট উভয়ই রয়েছে। ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার রয়েছে শুধু কাগজের নোট। বর্তমানে পাঁচ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত সবই ব্যাংক নোট। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে অন্য সব নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।


শেয়ার করুন