একটি কৌতুক ও অভিযোগ!

Khaleda-Zia20160501211322-350x193আলমগীর স্বপন

নির্বাচন সামনে রেখে এক রিপাবলিকান আর এক ডেমোক্রেটের মধ্যে গল্প হচ্ছে। ডেমোক্রেট বললেন, ‘আমি িযখন কোনো টেক্সিতে চড়ি, সেই টেক্সি ড্রাইভারের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি, তার ছেলে মেয়ের খোঁজখবর নেই, তাকে বেশি করে বকশিশ দেই, এবং নামার সময় বলি, ডেমোক্রেটদের ভোট দিও’। রিপাবলিকান সমর্থকটি জবাবে বলে, ‘আমি টেক্সিতে উঠেই গালাগালি শুরু করি, সিগারেট ধরিয়ে ড্রাইভারের মুখে ধোয়া ছুড়ে দেই, একটা টাকাও টিপস দেই না, কিন্তু নামার সময় তোমার মতোই বলি, ডেমোক্রেটদের ভোট দিও’।

রাজনীতির এমন কৌতুক বাংলাদেশে আরও বেশি সত্য। কম বেশি আমাদের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সুযোগ বুঝে একে অপরের বিরুদ্ধে এমন কৌশল অবলম্বন করেন। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের গল্প? এমনটা যে পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের দাবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়াকে। বলেছেন, ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন, ৩০০ মিলিয়ন ডলার (আড়াই হাজার কোটি টাকা) কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই’।

জয়ের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। প্রকাশ্য জনসভায় তোলা এই অভিযোগ নথিপত্র দিয়ে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলনে প্রমাণ করা উচিত বিএনপি চেয়ারপার্সনের। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভিভিআইপির দুর্নীতির প্রমাণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করবেন তিনি।

সেই অপেক্ষায়, আশায় আমরা? কারণ এভাবে যদি ভিভিআইপিরা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গোমড় ফাঁস করেন তাহলে দেশের জন্যই ভালো। তাহলে দুদক ছাড়াই আমরা জানতে পারব, রথি-মহারথিদের কার ব্যাংক হিসাবে কত টাকা আছে?

দেশের স্বার্থেই বেগম জিয়ার উচিত নথিপত্র সমেত সব তথ্য প্রমাণ হাজির করা। আর যদি তিনি তা না করতে পারেন তাহলে ওই রিপাবলিকানের আচরণের মতোই এই অভিযোগ স্রেফ একটা কৌতুক হয়েই থাকবে?

লেখক : বিশেষ প্রতিনিধি, যমুনা টিভি


শেয়ার করুন