একটি আপেল ও রূপবতী স্ত্রীর গল্প

06সিটিএন ডেস্ক:

একদা এক যুবকের খুব ক্ষুধা লাগল। সে খাবারের সন্ধ্যানে বের হলো। কিন্তু কোথাও খাবার পেলো না। দুর্ভাগ্যবসত কেউ তাকে খাবারও দিলো না। একপর্যায়ে ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে অন্যের বাগান থেকে না বলে একটি আপেল খেয়ে নিলো। পরবর্তীতে নিজ কর্মের জন্য ব্যথিত হলো এবং বাগানের মালিকের কাছে ক্ষমা চাইতে গেল। কিন্তু মালিক তাকে ক্ষমা করবে না বলে জানিয়ে দিলো। সঙ্গে এও জানাল যে, ‘পরকা

আল্লাহর কাছে এর বিচার চাইব আমি’। যুবকটি বিনীত সুরে বারবার তাকে ক্ষমা করার অনুরোধ করেও শেষ পর্যন্ত মালিকের মন গলাতে পারল না।
এক সময় মালিক বাসার ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো। যুবকটিও মালিকের বাসার সামনে বসে রইল। মালিক আবার ঘর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত সেখানে অপেক্ষা করতে লাগল। অনেক্ষণ পর মালিক বের হলো। যুবকটি আবার ক্ষমার অনুরোধ করতে লাগলো।
মালিক এবার ক্ষমা করতে রাজি হলো। কিন্তু একটি শর্ত জুড়ে দিলো। শর্তটি হলো তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। শর্ত শুনে যুবকটি খুশিই হলো। কিন্তু মন খারাপ করল একথা শুনেÑ যখন মালিক বলল, ‘আমার মেয়ে কিন্তু অন্ধ, বধির, বোবা এবং খুড়া।’
তারপরও যুবকটি বিয়েতে রাজি হলো। কারণ, তাছাড়া ‘না বলে ফল খাওয়ার’ পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই তার।
বিয়ে পর স্ত্রীকে দেখে যুবকটি আশ্চর্য হয়ে গেল। কারণ, মেয়েটি তার পিতার দেওয়া বর্ণনার সম্পূর্ণ বিপরীত। যে চারটি দোষের কথা বলা হয়েছিল তার একটি তো নেই-ই, উল্টো রূপে-গুণে অনন্যা একটি মেয়ে; যেন আকাশের চাঁদ।
যুবকটি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো, তোমার সম্পর্কে তোমার বাবা এমন বর্ণনা করলেন কেন? মেয়েটি বলল, আমার পিতা অনেকদিন যাবত আমার জন্য ভালো একটি ছেলে খুঁজছিলেন। কিন্তু পাচ্ছিলেন না। সামান্য একটা ফল নিয়ে আপনার আল্লাহভীতি দেখে ইচ্ছে করেই তিন আপনাকে পরীক্ষা করলেন। এজন্যই তিনি এসব বলেছিলেন। অবশ্য অন্য হিসাবে বাবার কথা ঠিকই আছে। কারণ, আমার জীবনে কোনো পরপুরুষ দেখিনি; সে হিসাবে আমি অন্ধ। আমার কান কখনও হারাম গান-বাজনা শুনেনি; সে হিসাবে আমি বধির। আমার জিহ্বা কখনও অশ্লীল বা খারাপ কথা বলেনি; সে হিসাবে আমি বোবা। আমি কখনও পর্দার বাইরে যাইনি; সে হিসাবে আমি খুরা।
যুবকটি তখন ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন এবং নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করলেন।
সূত্র : দ্যা ডেইলি রিমাইন্ডার থেকে অনুদিত


শেয়ার করুন