প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম বলেন

একজন শিক্ষিত ‘মা’ একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের আলোক বর্তিকা

IMG_20151026_131338প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

২৬ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০ টায় কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যায়ের অধিনে তিন বছর মেয়াদি বিএ/বিএসএস স্নাতক (পাস) কোর্সে২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি ইচ্ছুক ও ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভা ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন দক্ষিন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপিঠ কক্সবাজার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম.ফজলুল করিম চৌধুরী।

বিখ্যাত দার্শনিক নেপলিয়নের উদ্ধিতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও,আমি একটি শিক্ষত ও সভ্য জাতি উপহার দেব”।শিক্ষিত ব্যাক্তি দেশের সম্পদ হতে পারে, কখনো বুঝা হতে পারেনা। তিনি বলেন বর্তমানে দেখা যায়, সন্তানের অবদানের পেছনে মায়ের ভূমিকা থাকে সবচেয়ে বেশী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল যে কোন সন্তানকে জিজ্ঞেস করলে বলে, “আমার সফলতা,আমার এগিয়ে চলার পাথেয় একমাত্র আমার মা”। তাই মেয়েদের(ভবিষ্যতের মায়েদের) পিছিয়ে থাকলে চলবে না, এগিয়ে যেতে হবে। আর সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা।

সমাজে শিক্ষার বিপ্লব ঘটাটে সর্বস্থরের সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।কুতুবদিয়া মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা,কক্সবাজার সরকারি কলেজের দর্শণ বিভাগের অধ্যাপক আকতার আলমের জ্ঞানগর্ব উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়ার কৃর্তি সন্তানকক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, একই কলেজের অধ্যাপক সরওয়ার আলম, কুতুবদিয়া কলেজের ইংরেজী বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নাজে উল্লাহ,বড়ঘোপ ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক আবুল কালাম আযাদ।

শতাধীক ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্র/ছাত্রীদেরস্বস্পূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভার প্রারম্ভে সুরালো কন্ঠে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কুতুবদিয়া মহিলা কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক আলীমুল হক চৌধুরী।অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত তিন বছর মেয়াদি বিএ/বিএসএস (ডিগ্রি) কোর্সের গুরুত্ব ও বিষেশত্ব তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, কুতুবদিয়ার মত একটি দ্বীপ এলাকায় এ রকম একটি কোর্স আরো আগে চালু করা দরকার ছিল। কিন্তু দু:খের বিষয় কেউই এরকম মহতি উদ্যোগ পূর্বে হাতে না নিলেও বর্তমান সমাজের কিছু অগ্রসরমান বিদৎসাহী ব্যাক্তি পিছিয়ে পড়া দ্বীপাঞ্চালের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এ মহতি উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করে উদ্যোক্তাদের সর্বাত্বক সহযোগীতা করতে অন্যান্য সচেতন ব্যাক্তিদের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।এসময় উপস্থিত ছিলেন, অত্র মহিলা কলেজের, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো: ওসমান গণি,দর্শণ বিভাগের প্রভাষক মো: ছাইফুদ্দিন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল করিম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলাম। কুতুবদিয়া মহিলা কলেজ সূত্রে জানা যায়,যে কান সালেই উচ্চমাধ্যমিক/সমমান পাশ করলেই চলতি শিক্ষা (২০১৫-১৬ )বর্ষে উক্ত কোর্স সমূহেভর্তি হতে পারবে।ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রী/ছাত্রীরাঅফিস চলাকালীন সময়ে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবে। তবে কর্তৃপক্ষ সুযোগটি হাতছাড়া না করতে অনুরোধ করেছেন পিছিয়ে পড়াছাত্র/ছাত্রী ও কর্মজীবী ভাই-বোনদের।


শেয়ার করুন