এই প্রথম রুশ-পাকিস্তান যৌথ সামরিক মহড়া, কাল শুরু

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে পাকিস্তান পৌঁছেছে রুশ সেনাবাহিনীর একটি দল। উরির ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে ঠিক তখনই এই সামরিক মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। কাম্মির সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনারা যখন মুখোমুখি ঠিক তখনই এই মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই মহড়া শুরু হচ্ছে। চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই খবর উপমহাদেশের রাজনীতির নতুন মেরুকরণ শুরু হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস ও ডনের।

শুক্রবার রুশ সেনাদের নিয়ে একটি সামরিক পরিবহন বিমান পাকিস্তানের রাওয়াল পিন্ডিতে অবতরণ করে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আসিম বাজওয়া আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টুইটারে রুশ সেনাবাহিনীর অবতরণের ছবি প্রকাশ করেন।

টুইট বার্তায় জে. আসিম বাজওয়া বলেন, প্রথম পাক-রুশ যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে রুশ স্থল বাহিনী পাকিস্তানে এসে পড়েছে।

‘ফ্রেন্ডশিপ-২০১৬’ নামের এই সামরিক মহড়া ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় রাত্তু এবং চেরাতে স্পেশাল ফোর্সেস ট্রেনিং সেন্টারে এ মহড়া হবে। মহড়ায় উভয় দেশের প্রায় ২০০ সেনা অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন পদস্থ এক পাক কর্মকর্তা।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মিরের উরি সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার সূত্র ধরে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করছিল- পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করছে রাশিয়া। একে ভারতীয় কূটনীতির বিজয় বলে দাবি করেছিল ভারতীয় কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু রাশিয়ায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত কাজি খলিলউল্লাহ গত সোমবার তা অস্বীকার করেন। খলিলউল্লাহ জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়েই পাক-রুশ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। রুশ সেনাদলের পাকিস্তানে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে তার সে দাবির সত্যতা প্রকাশ পেল।

শীতল যুদ্ধের সময়কার পরস্পর বিরোধী শিবিরের দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সামরিক মহড়া এরই মধ্যে সামরিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তারা এ সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর নজর রাখছেন।

রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, দুই দেশে মধ্যে কয়েক দশকের যে ঠাণ্ডা লড়াই ছিল এবার তা প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত সুসম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের পতন ঘটার ফলেই নিজেদের বিদেশনীতিতে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। এয়ারক্রাফট কেনার জন্য এবার অন্য দেশকে বেছে নিচ্ছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে রাশিয়া গিয়েছেন পাকিস্তানের আর্মি, বিমান ও এয়ারফোর্সের চিফ। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে এমআই-৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার সংক্রান্ত চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে এসইউ-৩৫ ফাইটার জেটও কিনতে পারে পাকিস্তান।

—ঢাকাটাইমস


শেয়ার করুন