উড়োজাহাজের নকশায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনলো নাসা

aqwwwসিটিএন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, তারা সফলভাবে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের ডানার নকশা পরবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। ডানার ‘ফ্লাপসে’ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে উড়োজাহাজের কার্যক্ষমতা বাড়বে। কমবে জ্বালানির খরচ। এটাকে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি বলে অ্যাখা দিয়েছে নাসা।

উড়োজাহাজের ডানার নকশা পরিবর্তনের জন্য নাসাকে একাজে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার ফোর্স রির্সাস ল্যাবরেটরি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ফ্লেক্সসিস ইনকরপোরেশন।

এই প্রকল্পের পরিচালক ফে কলিয়ার জানান, উড়োজাহাজের ডানার নকশায় পরিবর্তন আনার জন্য গবেষণার কাজটি করা হয়েছে আর্মস্টং ফ্লাইট রিসার্স সেন্টারে। এটি ছিল ‘এনভারনমেন্ট রেসপনসিবল এভিয়েশন’ প্রকল্প।

ফে কলিয়ার আর ও জানান, এটি নাসার বড় আটটি ‘ইন্টিগেটেড টেকনোলজি ডেমোনেস্টেশনে’র প্রথমটি। এই নকশাটি পরিবেশ বান্ধব। বিশেষ করে এভিয়েশন ইন্ডাস্টিতে এটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

নাসা গত গ্রীষ্মে এই ধরনের বিশেষায়িত ডানার উড়োজাহাজ নিয়ে গবেষণা শুরু করে। গবেষকরা উড়োজাহাজের ডানায় ‘অ্যালুমিনিয়ামের ফ্লাপসে’র পরিবর্তে অত্যাধুনিক আকৃতি পরিবর্তন যোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স রিসার্স ল্যাবরেটরির প্রোগ্রাম ম্যানেজার পিট ফ্লিক বলেন, ‘আমরা উড়োজাহাজের ডানায় নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। কোনো ধরনের গোলমাল এই প্রযুক্তি কাজ করেছে। এতে করে আমরা রোমাঞ্চিত।

নাসার গবেষকদের মতে ‘ফ্লেক্সিবল ট্রেইলিং এজ উইং ফ্লাপ’ উড়োজাহাজের অ্যারোডায়ানামিক কার্যক্ষমতা বহুদিন বাড়িয়ে দেবে। পাশাপাশি টেক অফ এবং ল্যান্ড করার সময় শব্দ অনেকটাই কমে যাবে।

যদিও এটি উড়োজাহাজের সামান্যই পরিবর্তন কিন্তু এর রয়েছে বিশাল ভূমিকা। উড়োজাহাজের শক্তির কার্যক্ষমতা অনেকটাই নির্ভর করে উইং ফ্লাপের উপর। উড়োজাহাজের ডানায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ৪ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

নাসা জানিয়েছে, তারা পরবর্তী প্রজন্মের উড়োজাহাজ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। যাতে থাকবে বিশেষ ধরনের লেজ।


শেয়ার করুন