কুতুবদিয়া উপজেলার অর্ন্তগত বড়ঘোপ জেটিঘাটের ইজারাদার ইয়াছিন আরাফাত দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার শুঁটকি ব্যবসায়ী ও এক জন জেটিঘাটের সাথে সর্ম্পকহীন সরকারী কর্মচারীকে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে অভিযুক্ত করে (বি আই ডব্লিউ টি এ)জেটিঘাট নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বরাবরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নিজেই ফেঁসে গেলেন। জানাযায়, ১৩ জানুয়ারী কুতুবদিয়া জেটিঘাট ইজারাদার দক্ষিণ অমজাখালী এলাকার আবুল কালাম আযাদের পুত্র ইয়াছিন আরাফাত দ্বীপের ২শতাধিক ক্ষুদ্র শুঁটকি ব্যবসায়ীদের ও এক নিরহ সরকারী কর্মচারীকে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে জড়িয়ে টোল আদায়ে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে মিথ্যা ও হয়রানী মুলক অভিযোগ দেয় জেটিঘাট নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বরাবরে।বি আই ডব্লিউ টি এর কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মমিনুর রশিদকে নির্দেশ দেয়। গতকাল ২৬ জানুয়ারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত কার্য সম্পাদন করার জন্য গত ২২ জানুয়ারী উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য উনিঅ/কুতুব/২০১৫-২৯ নং স্মারক মুলে নোটিস প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ-মমিনুর রশিদ। গতকাল ৫ শতাধিক ছোট বড় শুঁটকি ব্যবসায়ী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে তদন্তকালে অভিযোগকারীর অভিযোগ মিথ্যা ও নিরহ সরকারী কর্মচারীকে উদ্দেশ্য মুলকভাবে জড়ানো প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগ কারীর চাওয়া আকষ্মিক সময় আবেদন না মঞ্জুর করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত সবার স্বাক্ষী গ্রহন করে ব্যবসায়ী ও সরকারী কর্মচারীকে হয়রানীর জন্য ইজারাদার ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ.টি.এম নুরুল বশর চৌধুরী কুতুবদিয়া জেটিঘাট ইজারাদার ইয়াছিন আরাফাত ব্যবসায়ী ও সাধরণ মানুষের নিকট থেকে জেটি ঘাটের ২ কিলোমিটার দূরে টোল আদায়ের নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করার প্রস্তাব করলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইজারাদার কর্তৃক শুঁটকি ব্যবসায়ীদের নিকট টোল আদায়ের নামে চাঁদা আদায় বন্ধ করার জন্য উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানায়। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দিদারুল ইসলাম জানায়, ছাবের কোম্পানীর পেটুয়া বাহিনী নামধারী ইজারাদার ইয়াছিন আরাফাত দলবল নিয়ে জেটিঘাট থেকে ২ কিলোমিটার দূরে এসে টোল আদায়ের নামে ব্যবসায়ীদের জিম্মী করে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। শুটকি মহাল থেকে মালামাল উপকুলে আনলেও টোল আদায়ের নামে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে বসে। চাঁদা না পেলে তার পেটুয়া বাহির্নী দিয়ে মালামাল নষ্ট করে বসে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী শাহাজাহান জানায়, কুতুবদিয়া জেটিঘাটের ইজারাদার জেটিঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ক্রসড্রম এলাকায় দলবল নিয়ে এসে টোল আদায়ের নামে চাঁদা দাবীর জন্য মাল ভর্তি বোট আটকে রাখে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও কোষ্টগাটের সহযোগীতায় বোট নিয়ে গেলে ইজারাদার মোবাইল ফোনে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এব্যাপারে নিরহ সরকারী কর্মচারী মোঃ রাসেল জানায়,আমি একজন সরকারী কর্মচারী। আমি কোন ব্যবসায়ী নই। যেহেতু আমার কোন মালামাল জেটিঘাট দিয়ে আসা যাওয়া করেনা সেহেতু ইজারাদারের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীদের সাথে ও কোন সম্পর্ক নেই। ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে কি হয়েছে সেটিও আমি অবগত নই। কার ইন্দনে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের সাথে আমার নাম যোগ করেছে তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রশিদ জানায়, অভিযোগকারী ইজারাদার জেটিঘাটের নির্ধারিত এলাকার বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট অবৈধ্য ভাবে টোল আদায় ও একজন নিরহ সরকারী কর্মচারীকে উদ্দেশ্য মূলকভাবে হয়রানী প্রমানিত হওয়ায় অভিযোগকারীর তাৎক্ষনিক চাওয়া সময় আবেদন নামঞ্জুর করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্বাক্ষীদের লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয় এবং ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায়।