উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায় 

অনেকে উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। নানা কারণে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। এজন্য চিকিৎসকরা যেকোনো মূল্যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। এখানে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার নয়টি উপায়ের কথা আলোচনা করা হলো, যা ম্যাজিকের মতো কাজে আসবে।

১. জগিং করা

শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর এজন্য আপনার নিয়মিত আধঘণ্টা জগিং কিংবা দ্রুত হাঁটতে হবে। আর এ কাজটি নিয়মিত করতে পারলে উচ্চরক্তচাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
২. দই খাওয়া প্রতিদিন দই খাওয়া আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা করতে পারে। এজন্য খুব বেশি দই খেতে হবে না। ছোট এক বাটি বা এক কাপ দই খেলেই চলবে।

৩. কলা খাওয়া কলায় রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম। এটি দেহের জলীয় পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে। এ কারণে নিয়মিত কলা খেলে তা রক্তচাপের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

৪. কম লবণ লবণ রক্তচাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে লবণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। মানুষের স্বাভাবিক খাদ্যেই লবণ রয়েছে। তাই বাড়তি লবণ কোনোক্রমেই নেয়া যাবে না। বিস্কুট, চিপস ইত্যাদি নানা খাবারের মাধ্যমেও বাড়তি লবণ আমাদের দেহে প্রবেশ করতে পারে। তাই এসব খাবারেও সতর্ক হতে হবে।

৫. ওজন হ্রাস দেহের ওজন বেড়ে গেলে রক্তচাপের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ কারণে দেহের ওজন নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কোনো কারণে দেহের ওজন বেড়ে গেলে তা দ্রুত কমিয়ে নিতে হবে।

৬. ধূমপান ত্যাগ ধূমপানের ফলে দেহে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। মূলত বাড়তি নিকোটিনের কারণে দেহের অ্যাড্রিনালাইন হরমোন নিঃস্বরণ বেড়ে যায়। এতে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ।

৭. বিশ্রাম বাড়তি কর্মঘণ্টার কারণে অনেকেরই হাইপারটেনশন হয়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে প্রতিসপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর বিশ্রামও করতে হবে।

৮. নাক ডাকার চিকিৎসা অনেকেরই নাক ডাকার সমস্যা রয়েছে, যা মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার কারণে হয়ে থাকে। এ সমস্যাতে রক্তচাপও বেড়ে যেতে পারে। তাই নাক ডাকার সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করিয়ে নিন।

৯. চা-কফি সীমিত করুন চা-কফিতে থাকা ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে চা-কফি সম্পূর্ণ বাদ দেয়ার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক অবস্থায় চা-কফি দিনে তিন কাপের মধ্যে সীমিত রাখলে রক্তচাপ বাড়বে না।


শেয়ার করুন