উখিয়া দরগাহবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিমার্ণ কাজে অনিয়ম

অনিয়মশফিক আজাদ, উখিয়া প্রতিনিধি ॥

আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে নির্মিত উখিয়ার দরগাহবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার নিমার্ণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম, দূনীর্তি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ দায়সারা ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে জনচলাচলের রাস্তাটি অচল করে দেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে একাধিকবার অনুরোধ করার পরও কাজ হয়নি। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ জনচলাচলে মারাত্মক বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে। এঘটনা নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থল নবনির্মিত দরগাহবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ঘুরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মোঃ কামরুল হাছানের সাথে আলাপ করে জানতে চাওয়া হলে নিমার্ণ কাজে সিডিউল মোতাবেক গুণগতমান সম্পন্ন উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে কিনা? প্রতি উত্তরে তিনি বিদ্যালয় নিমার্ণ প্রসঙ্গে কোন কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্ধে আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডি’র অর্থায়নের নির্মিত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃষ্টির পানি ধারণ পূর্বক ছাত্রছাত্রীদের পানি খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হলেও তা যথাযথ সিডিউল প্রক্রিয়ায় তৈরি না করার কারণে ওই পানি খাওয়ার অনুপযোগী হবে মন্তব্য করেছেন একাধিক শিক্ষক। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার ফজলুর রহমান জানান, ঠিকাদার তার ইচ্ছামত কাজ করেছে। তিনি বলেন, স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য মাঠটি সংস্কার করে ২টি লোহার এঙ্গেল বসানোর কথা থাকলেও তা তারা করেনি। দরগাহবিল এমপিসিএম প্রকল্পের বিল্ডিং ফর ফিউচার লিমিটেডের প্রকৌশলী মোঃ জুবায়েরর সাথে মুঠোফোনে আলাপ করা হলে তিনিও এ প্রসঙ্গে কিছু জানাননি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট বদিউর রহমান জানান, নিুমানের উপকরণ দিয়ে দায়সারা ভাবে তৈরি নির্মিত ভবনের যে সমস্ত চুনকাম ও রং করা হয়েছে তাও মাস না যেতেই খসে পড়ে বিদ্যালয়ের চেহারা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের নিমার্ণ কাজ তদন্ত করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযুক্ত ঠিকাদার কামরুল হাছানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজন আমার থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে তা না দেওয়ায় এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।


শেয়ার করুন